AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gosaba: ‘ওরা বলল আমরা এসে গিয়েছি…’, তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীর

সুন্দরবনের কোস্টার থানার পুলিশ গোটা ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখেছে। এমনকি তাঁর আরও বক্তব্য, অভিযুক্তদের আটকানো, গ্রেফতারির বদলে পুলিশ ঘটনার মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলেছে, "এ কী করছো তোমরা? আমাদের সামনেই মারপিট করছ?"

Gosaba: 'ওরা বলল আমরা এসে গিয়েছি...', তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন প্রত্যক্ষদর্শীর
গোসাবার তৃণমূল নেতা খুনের প্রত্যক্ষদর্শীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2023 | 11:12 AM
Share

গোসাবা: পুলিশের সামনেই ফেলে পেটানো হয়েছে। হাতে-পায়ে,মুখে, কোথায় কোপানো হয়নি! পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখেছে। কোস্টাল থানার পুলিশ এসে শুধু বলল, “আরে আমরা তো এসে গিয়েছি… আমাদের সামনেই তোমরা এসব কী করছ?” এক তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগে তপ্ত গোসাবা। এক্ষেত্রেও শাসকনেতাকে খুনের অভিযোগ উঠছে শাসকেরই বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলেছে খোদ পরিবার। আর গোটা ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায় উঠে আসছে আরও ভয়াবহ অভিযোগ। বছর সত্তরের এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, পুলিশের সামনেই পেটানো হয়েছে। সুন্দরবনের কোস্টার থানার পুলিশ গোটা ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখেছে। এমনকি তাঁর আরও বক্তব্য, অভিযুক্তদের আটকানো, গ্রেফতারির বদলে পুলিশ ঘটনার মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলেছে, “এ কী করছো তোমরা? আমাদের সামনেই মারপিট করছ?” ঘটনার সাক্ষীর যা বক্তব্য, তা গোসাবা তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় গোসাবায় মুছাকালি মোল্লা নামে এক বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পথশ্রী প্রকল্পে গ্রামের একটি রাস্তা নির্মাণ নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। বিবাদ হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাকিবুল নামে এক ব্যক্তির। পথশ্রীতে  যে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল তার বরাত পেয়েছিলেন বাকিবুল। বুথ সভাপতি মুছাকালি সেই রাস্তার কাজ তদারকির জন্য একজন বৃদ্ধকে দায়িত্ব দেন। উল্লেখ্য, তিনিই এই ঘটনার মূল সাক্ষী। তাঁর বক্তব্য, বাকিবুল নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করছিল। তাতে বাধা দেন তিনি। তখনই বাকিবুলের দলবল তাঁকে মারধর করে, তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুছাকালি আরও বেশ কয়েকজন।  প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, বাকিবুলের দল ভারি ছিল। ৭০-৮০ জন লোক তখন মুছাকালি ও তাঁর দলের ওপর হামলা চালায়। দাঁ দিয়ে মুছাকালির ঘাড়ে কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন জলেও পড়ে যান।

সেই মুহূর্তে জ্ঞান হারান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী ওই বৃদ্ধ। পরে যখন তাঁর জ্ঞান ফেরে তিনি ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাঁর কথায়, ” আমি ওসব দেখে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম। জ্ঞান ফিরতেই ওদের বলেছিলাম মুছাকালিকে খুন করলে কেন? তখন আবার মারধর শুরু করল। আমাকে বেধড়ক মার শুরু করল। তখন আমার জ্ঞান আমাকে টেনে তুলে সাত জন আমাকে বেধড়ক মারছে। ক্যাম্পের পুলিশের সামনে মারছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে।” পুলিশ কিছু করল না? এ প্রশ্ন করা হয়েছিল ওই বৃদ্ধকে। তিনি বলেন, “পুলিশ শুধু এটুকুই বলল, আমরা এসে গেছি, তোমরা এ কী করছো? এ তো তোমাদের ভাল লক্ষ্মণ নয়, পুলিশ শুধু এটুকুই বলল।”

প্রত্যক্ষদর্শীর এই বয়ান পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।