Bhangar: ‘ভাইজানে’র মাটিতে অবক্ষয়ের মুখে আইএসএফ, ফের কয়েকশো কর্মীর যোগ তৃণমূলে
Bhangar: উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড় জুড়ে একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয় আইএসএফের কর্মী সমর্থকরা। এদিন একই রকম ভাবে আইএসএফ কর্মীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে।
ভাঙড়: ভাঙড়ে আবারও ভাঙন আইএসএফের। এবার কয়েকশো আইএসএফ কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নাটাপুকুর ৬১ নম্বর বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তাঁরা। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খইরুল ইসলামের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয় আইএসএফ কর্মীরা।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড় জুড়ে একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয় আইএসএফের কর্মী সমর্থকরা। এদিন একই রকম ভাবে আইএসএফ কর্মীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। আইএসএফ কর্মী আরসাদ সাঁফুই বলেন, “নিজেদের ভুল বুঝে আবারও তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলাম। এলাকায় উন্নয়ন করতে হলে তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে হবে।”
তৃণমূল নেতা খইরুল ইসলাম বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের পর সাধারণ মানুষ বুঝেছে আইএফএফের সঙ্গে থাকলে কোন উন্নয়ন হবে না। সেকারণেই আমাদের দলে আবার সকলে ফিরছে। সকলকে নিয়েই আগামীদিনে উন্নয়নের কাজ করা হবে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও ভাঙড়ে আইএসএফ শিবিরে ভাঙন হয়। ভাঙড়ে ১০০ জন আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামদের হাত ধরে তাঁদের দলবদল হয়। ওই আইএসএফ কর্মীরা মূলত ভাঙড়ের ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। বোমাবাজি, গোলাগুলির লড়াই, ১৪৪ ধারার মধ্যে মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। তারপরও অবশ্য জারি ছিল অশান্তি। তবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক নওশাদের মানরক্ষা হয়নি। শাসকদলের দাপুটে জয়ের মুখে কার্যত খাতাই খুলতে পারেনি আইএসএফ। এবার ভোট আবহ কাটতে, ভাঙড়ে অব্যাহত দলবদলের ধারা।