Mograhat Murder Case: জোড়া খুনে এখনও অধরা অভিযুক্তরা, সিবিআই তদন্তের দাবি হচ্ছে জোরাল
Mograhat Murder Case: পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানে আলম তার সঙ্গীদের নিয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। সীমান্ত পেরিয়ে পালানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মগরাহাটের জোড়া খুনে এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। তাঁতছে এলাকা। রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। মগরাহাট জোড়া খুনে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। নিহতদের পরিবারের স্পষ্ট বক্তব্য, পুলিশের ওপর আস্থা নেই তাঁদের। রবিবার সকালেও পুলিশকে দেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কেন এখনও অভিযুক্তরা ধরা পড়ল না? পুলিশকে ঘিরে ধরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহত মলয় মাথালের মাসি কণিকা রায় বলেন, “পুলিশকে আমরা ভরসা করতে পারছি না। এখনও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারই শুধু নয়, ফাঁস চাই ওদের। খুনিকে ধরে দিন। আমরা সিবিআই চাইছি।”
রবিবার সকালেও থমথমে মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকা। দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট ফাঁকা। গ্রামবাসীরা রীতিমতো তেঁতে রয়েছেন। এদিন সকালেই গ্রামে যান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। মূল অভিযুক্ত জানে আলম-সহ বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। আজ সকালেই গ্রামে যান জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, মগরাহাটের বিধায়ক নমিতা সাহা। তিনি নিহতদের বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। বিধায়ক বলেছেন, “দোষীরা নিশ্চিত শাস্তি পাবে। এ বিষয়ে পুলিশ তৎপর। আমরা চেষ্টা করছি সরকারের পক্ষ থেকে যাতে নিহতদের পরিবারকে কিছু আর্থিক সাহায্য দেওয়া যায়।” মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও তাঁর বেতনের অর্ধাংশ তুলে দিয়েছেন নিহতদের পরিবারের হাতে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানে আলম তার সঙ্গীদের নিয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। সীমান্ত পেরিয়ে পালানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার দিনে দুপুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে মগরাহাটে। প্রকাশ্যে বরুণ চক্রবতী ও মলয় মাখাল নামে দুই যুবককে প্রথমে গুলি করে, পরে গলা কেটে খুন করা হয়। অভিযোগের নিরিখে নাম উঠে আসে জানে আলম মোল্লা নামে এলাকার এক দুষ্কৃতীর নাম। । জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জানে আলম বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ১০ বছর আগে এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ।
এলাকায় অভিযুক্ত জানে আলমের যথেষ্ট প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল বলে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল জানে আলম। সম্প্রতি পশুর হাড় থেকে জৈব সার তৈরির ব্যবসা শুরু করেছিল সে। তাতেও দুর্নীতি শুরু করে।
নিহত দুই যুবকও তার প্রতারণার শিকার। তাই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিলই। শুক্রবার রাতেও এক দফা অশান্তি হয়েছিল বলে খবর। তারপরই জানে আলম তাঁদের ডেকে পাঠায়। তারপরই খুন! আপাতত জানে আলমকেই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।