Narendrapur: তিলোত্তমার বিচারে রাত জাগোতে সামিল হন, তাঁরই স্বামীর বিরুদ্ধে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ, নরেন্দ্রপুরের প্রতিবাদী সেই মহিলা যা করলেন, তাঁকে স্যালুট…
Narendrapur: নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত একে অপরের প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও নির্যাতিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার ছেলেকে নিয়ে তাঁর স্বামী স্কুলে বেরিয়ে যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আরজিকর আবহের মধ্যেই বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করে রাখারও চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। এই ঘটনায় রবিবার রাতে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অধরা মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্তের যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই দাবি জানালেন তাঁর স্ত্রীও। কারণ আরজি করের ঘটনার যে প্রতিবাদ চলছে, রাত জাগোতে সামিল হয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী ধর্ষণে অভিযুক্ত, সে কথা ভাবতেও পারছেন না তিনি।
নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত একে অপরের প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও নির্যাতিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার ছেলেকে নিয়ে তাঁর স্বামী স্কুলে বেরিয়ে যায়। সেই সময় ঘরে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগ বুঝে ফাঁকা বাড়িতে ঢোকেন অভিযুক্ত। তারপর জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি চিৎকার করে উঠলে তাঁর মুখ চেপেও ধরা হয়। সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়ায় ভয়ে তিনি প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি। পরে তিনি তাঁর বিষয়টি স্বামীকে জানান।
রবিবার রাতে এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডায়মন্ড হারবারে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। অভিযুক্ত এফসিআই কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। তারাতলা এলাকায় তাঁর অফিস বলেও জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্তের স্ত্রী বলেন, “আমি কিচ্ছু না, শাস্তি চাই। আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমি এসে শুনেছি, তাঁকে মুখ করি, বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।”