School Teacher: ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল স্কুল শিক্ষকের, মিলল সুইসাইড নোট
School Teacher: পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল প্রণব। ফোনও ঘাঁটতো সারাক্ষণ। প্রণবের বাবা সুভাষচন্দ্র নাঁইয়া বলছেন, “আমার তো একটাই ছেলে। সারাক্ষণ তো ফোন ঘাঁটত। চাকরির বিষয়ে সব শুনছিল, দেখছিল। ওইসব নিয়েই চিন্তা করছিল।”

কুলতলি: একদিন আগেও সব ঠিক ছিল। কিন্তু, পয়লা বৈশাখের সকালেই সবটা বদলে গেল। মুহূর্তেই বিষাদের ছায়া কুলতলি থানা এলাকার মেরিগঞ্জ দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলবেরিয়া গ্রামে। এখানেই বাড়ি ছিল স্কুল শিক্ষক প্রণব পতিত নাঁইয়ার। পড়াতেন জয়নগরে টিএস সনাতন হাইস্কুলে। এদিন সকালে নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
সূত্রের খবর, ২০১২ সালে চাকরি পেয়েছিলেন প্রণব। এখনও বিয়ে করেননি। নতুন বাড়িও হচ্ছিল। তারমধ্যেই আচমকা এ ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে। শোকের ছায়া এলাকায়। প্রিয় শিক্ষককে হারিয়ে শোকে কাতর পড়ুয়ারাও। সূত্রের খবর, প্রণবের ঘর থেকে যে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে তাতে আবার লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাহলে কী কারণে আত্মহত্যা? তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল প্রণব। ফোনও ঘাঁটতো সারাক্ষণ। প্রণবের বাবা সুভাষচন্দ্র নাঁইয়া বলছেন, “আমার তো একটাই ছেলে। সারাক্ষণ তো ফোন ঘাঁটত। চাকরির বিষয়ে সব শুনছিল, দেখছিল। ওইসব নিয়েই চিন্তা করছিল। আমি বলি চাকরিটা যাক তারপর তো ভাববি, এখন কেন এসব ভাবছিস! ওর কোনও দেনাও ছিল না। তাও এই কাণ্ড করে ফেলেছে।” খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।





