Sonarpur Crime: দু’বছর আগের বর্ষশেষের ঝামেলা, এই পঞ্চমীতে শোধ তুলল ‘পুরনো বন্ধুরা’
Sonarpur: তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই চন্দনের ওপর হামলা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাইকে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারলেন না দাদা! পঞ্চমীর রাতে গণপিটুনির শিকার যুবকের মৃত্যু হল দশমীর রাতে। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের। মৃতের নাম চন্দন রায় (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুরের রানিয়া এলাকার বাসিন্দা চন্দন ভিনরাজ্যে কর্মরত ছিলেন। পুজোর আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। পঞ্চমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে এক ঠেকে বসে মদ খাচ্ছিলেন। পরিবারের দাবি, রাতে তাঁদের কাছে খবর আসে, রানিয়া ত্রিরিশ ফুটের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন চন্দন। দ্রুত খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা।
চন্দনের সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত, একাধিক জায়গায় কালশিটের দাগ। মাথাতেও আঘাত ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে চন্দন জানিয়েছিলেন, একাধিক ব্যক্তি তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। চন্দনকে প্রথমে বাঘাযতীন হাসপাতালে ভর্তি করায় পরিবার। তারপর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা।
তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই চন্দনের ওপর হামলা হয়েছে। চন্দন যেহেতু বাইরে থাকতেন, তাই তাঁকে এতদিন বাগে পাননি অভিযুক্তরা। পঞ্চমীর রাতে এলাকাতে পেয়েই হামলা শুরু হয়। এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি চন্দনের শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে।
চন্দনকে বাঘাযতীন হাসপাতাল থেকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও চিকিত্সায় সাড়া দেননি চন্দন। এতদিন সেই চিকিত্সাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। শেষমেশ দশমীর রাতে মৃত্যু হয় চন্দনের।
থানায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মৃতের দাদা বলেছেন, “দেড়-দু বছর আগের অশান্তি। ৩১ ডিসেম্বর পাড়াতে একটা অশান্তি হয়েছিল। সেসময় জেলও খেটেছিল অনেকে। আমরা ভেবেছিলাম সে ঝামেলা মিটে গেছে। পরে দেখি আবার তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। পঢ্চমীর দুদিন আগেও একবার অশান্তি হয়। তারপর তো এই ঘটনা। ভাইয়ের মাথাতে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়েছে বলে ডাক্তাররা বলেছেন।”
আরও পড়ুন: Alipurduar: ভাসানের নাচে তখন সবাই মত্ত, আচমকাই পকেট থেকে ছুরি বার করে এলোপাথাড়ি চালাল যুবক…