Canning: সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে ‘দলাদলি’, পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চলল হুজ্জুতি

TMC: গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

Canning: সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে 'দলাদলি', পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চলল হুজ্জুতি
সরকারি প্রকল্পের কাজ ঘিরেও গোষ্ঠীকোন্দল। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 3:26 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারি প্রকল্পের কাজ ঘিরেও শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ নিয়ে প্রধান ও উপপ্রধানের বচসা জেরে পঞ্চায়েত অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পঞ্চায়েত কর্মীদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকা।

উপপ্রধান মদন নস্কর, পঞ্চায়েত সদস্য অর্জুন মোহান্তি ও তাঁদের অনুগামীরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, জনা তিরিশেক লোক পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয়ে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করেন। লাঠি, রড দিয়ে মারধরও করা হয়। আহত এক পঞ্চায়েত কর্মী ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধান নন্দকিশোর সর্দার।

গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান নন্দকিশোর সর্দারের কথায়, “হঠাৎ করে ওরা পঁয়ত্রিশ, চল্লিশজন লোক নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে হানা দেয়। আমাদের ছেলেরা ছিল। ওদের বলছে প্রধান সাহেব কোথায়। ওরা বলেছে, এখনও আসেননি। এরপরই ঠেলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারের ঘরে ঢোকে। সে সময় ঘরে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন না। অরুণ মোহান্তি বলে একজন ছিল, ওর ল্যাপটপটা টান মেরে ফেলে দেয়। ঘাড় ধরে বাইরে বের করে দেয়। এর পর আমার নামে যাচ্ছেতাই গালাগাল করে অফিসে যারা কর্মী ছিল ওদের বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। জামা কাপড়ও ছিঁড়ে দেয়। ওরা সব যুব করে। আগে ফরওয়ার্ড ব্লক করত। আমরা মূল তৃণমূল দল করি। মূল দলটা করি বলেই আমাদের উপর এ ভাবে আক্রমণ করা হল। একেবারেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ।” প্রধানের অভিযোগ উপপ্রধান মদন নস্করের ইন্ধনে এই হামলা চলেছে।

অন্যদিকে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রিয়াজুল শেখ বলেন, “যারা দীর্ঘদিন ধরে এই দল করছে তাদের এই দলের লোক, দলের নেতারা ভুলে যায়। আর যারা আমাদের দল করে না, বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক করে তারাই দলে আসল কর্মী হয়ে যায়। তাদের নিয়েই পঞ্চায়েতটা কী ভাবে নষ্ট করে, পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্থা করবে সেই পরিকল্পনা চলছে। কারা দল করেনি আর কারা দল করেছে দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। ফরওয়ার্ড ব্লক করত, কিন্তু পার্টির পরিষেবাগুলো ঠিক নিয়ে নেয়। কোনও না কোনও নেতাকে ধরে নানা সুযোগ সুবিধা নেয়। যেই ভোট আসে তখনই আবার ওরা ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে কাজ করে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যত চক্রান্ত করার করে।”

রিয়াজুলের অভিযোগ, “নানা রকম ষড়যন্ত্র করেও সব দলের কর্মী হয়ে গিয়েছে। দল তাদের আলাদা গুরুত্ব দেয়। তারাই এসে পঞ্চায়েতে মারধর করে, অশান্তি করে। আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছি। আমার উপর ওদের এটাই বোধহয় রাগ। আমরা সবাই বসেছিলাম। এরই মধ্যে মদন নস্কর, অর্জুন মোহান্তি পঞ্চায়েতে ৩০-৪০ জন লোক ঢুকে পড়ে। ওরা পরিকল্পনা করে এসে মারধর করল। যত দু’নম্বরি লোকজন আছে, সব  এখন যুবতে ঢুকে পড়ছে। যারা আসলে দল করে তাদের কোনও দাম নেই।” যদিও এই ঘটনায় যাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল সেই উপপ্রধানের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: Bidhannagar: সকালের ডিউটিতে যোগ দেননি সাব ইন্সপেক্টর, থানার উপরে বন্ধ ঘরে ঘটালেন ভয়ঙ্কর কাণ্ড!