Tiger Panic: জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে এল বাঘ! ঘুম উড়েছে সুন্দরবনে, টানা মাইকিং পুলিশের

Sundarbans Tiger: গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা। গ্রামে ঘুরছেন মৈপীঠ থানার পুলিশকর্মীরাও। জোরকদমে চলছে মাইকিং। গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে বার বার মাইকিং করে বলা হচ্ছে, 'পেটকুলচাঁদ জঙ্গলে একটি বাঘ চলে এসেছে। প্রত্যেকে বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। বাড়ি থেকে কেউ বেরবেন না।'

Tiger Panic: জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে এল বাঘ! ঘুম উড়েছে সুন্দরবনে, টানা মাইকিং পুলিশের
বাঘের পায়ের ছাপ, সজাগ প্রশাসনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2024 | 7:54 PM

কুলতলি: শীতের সন্ধেয় বাঘের আতঙ্কে ঘরবন্দি সুন্দরবনের পেটকুলচাঁদ এলাকা। জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ের কাছাকাছি ঘুরে বেরাচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বাঘের পায়ের ছাপও দেখা গিয়েছে এলাকায়। বনদফতর থেকে তা নিশ্চিতও করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানার এই পেটকুলচাঁদ গ্রামের লোকেরা। ইতিমধ্যেই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা। গ্রামে ঘুরছেন মৈপীঠ থানার পুলিশকর্মীরাও। জোরকদমে চলছে মাইকিং। গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে বার বার মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ‘পেটকুলচাঁদ জঙ্গলে একটি বাঘ চলে এসেছে। প্রত্যেকে বাড়িতে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। বাড়ি থেকে কেউ বেরবেন না।’

এদিকে বন দফতরের কর্মীরাও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, পেটকুলচাঁদের জঙ্গল থেকে যাতে ওই বাঘকে আবার গভীর জঙ্গলের দিকে ফেরানো যায়। পেটকুলচাঁদের জঙ্গলের ধারে মোটা নেট বসানো হচ্ছে উঁচু করে। বাঘ যাতে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা।

সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাঘের ভয় নিয়েই দিন কাটে মানুষজনের। প্রতি মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা। মাঝে মধ্যেই গভীর জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে আসে লোকালয়ের কাছাকাছি। বিশেষ করে এই শীতের মরশুমে লোকালয়ের কাছাকাছি বেশি বেরিয়ে আসে বাঘ। আর এই সময়টা আতঙ্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। পেটকুলচাঁদ গ্রামের এক গৃহবধূ বাসন্তী প্রধান জানাচ্ছেন তাঁদের আতঙ্কের কথা। বলছেন, “সব সময় আমাদের ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। কয়েক দিন আগেই বাঘ এসেছিল। বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। সেই বার বাঘ ফিরে গিয়েছিল আবার। এরপর আজ আবার বাঘের পায়ের ছাপ। এবার বাঘ যদি ধরা পড়ে, তাহলে একটু শান্তিতে ঘুমোতে পারব।”