বারুইপুর: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল। বুধবারই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম। আর জেল থেকে বেরিয়েই হুংকার তাঁর। কোনও ভাবেই ভাঙড় থেকে তাঁকে সরানো যাবে না। প্রসঙ্গত, আরাবুল ইসলাম জেলে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন ভাঙড় পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। খুনের ষড়যন্ত্রের থেকে শুরু করে টাকা তোলার অভিযোগ করেন তিনি। এরপর গতকাল ছাড়া পেতেই সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিলেন আরাবুল।
ইতিমধ্যেই ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে তাঁর নেমপ্লেট। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে তাঁর ঘর ও দখল করেছে শওকত ঘনিষ্ঠরা। এরপরই ‘তাজা’ নেতা জানান যে, এত সহজে তাঁকে সরানো সহজ হবে না। বলেন, “আমি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি।পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ভোটে আমি সভাপতি হয়েছি।” এরপরই তাঁর সংযোজন, “আমি খুনের রাজনীতি করি না।তবে তৃণমূলেই থাকছি।” শুধু তাই নয়, এও শুনিয়ে রাখলেন এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি তার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।
তবে গতকাল জেল থেকে বেরনোর পর আরাবুলকে কিছুটা হলেও অসুস্থ লাগল। কাঁপা-কাঁপা গলায় নিজেই জানালেন অসুস্থ। একই সঙ্গে লোকসভা ভোটের ভাল রেজাল্টের জন্য মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব বলেও জানান তিনি। নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যাতে সুস্থ ও ভাল থাকেন তার প্রার্থনাও জানান। ভাঙড়ের মানুষও যাতে সুস্থ ও ভালো থাকে সেই প্রার্থনাও করেন তিনি। বস্তুত, গতকাল আরাবুল ইসলামকে স্বাগত জানাতে বহু কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে এদিন রজনীগন্ধার মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানান কর্মীরা।