সোনারপুর: সোনারপুরে সন্তান খুনে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মায়ের। ছেলে দেবজিৎ মণ্ডল খাবার সময় পিছন থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে তাকে খুন করে অভিযুক্ত মা তনুজা মণ্ডল। পুলিশি তদন্তে তেমনটাই জানিয়েছে অভিযুক্ত বলে খবর।
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার তাঁর বারণ করা সত্বেও ছেলে খেলতে চলে গিয়েছিল। যদিও সঙ্গে-সঙ্গেই ফিরে আসে সে। এসে মায়ের গলা জড়িয়ে আদরও করে। তারপর খিদে পেয়ে যায় তার। বাড়িতে রাখা ছিল চাউমিন। সেটাই ছেলেকে খেতে দেন তনুজা। বিছানাতেই খেতে-খেতে টিভি দেখছিল দেবজিত। তখনই পিছন থেকে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে ছেলেকে খুন করে অভিযুক্ত।
দেবজিৎ চিৎকার করলেও সেই আওয়াজ টিভির আওয়াজে বাইরে যায়নি। ফলে কেউই চিৎকার শুনতে পায়নি। এই ঘটনা ঘটানোর পর ছেলেকে বিছানায় কম্বল চাপা দিয়ে শুইয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তনুজা মণ্ডল।
বর্তমানে বারুইপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ২২ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে আছেন তনুজা। সন্তান খুনের ঘটনায় এখন মাঝেমধ্যেই থানা লক আপে কান্নাকাটি করছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ হেফাজত শেষে আগামিকাল তাকে পেশ করা হবে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। উল্লেখ্য, নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহের মৌলিহাটি এলাকায় শনিবার ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন অভিযুক্ত মহিলা।ঘটনার পরই থানায় গিয়ে অত্মসমর্পণ করেন মহিলা। রাগের মাথায় আট বছরের ছেলেকে খুন করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তিনি। সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনেও খুনের কথা স্বীকার করে নেন।