AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Barasat School: ‘স্কুলে তুলসীর মালা পরে আসা যাবে না’, বারাসতের স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক

Barasat School: বারাসত নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ভাইরাল অডিয়োতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কাল ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরো স্কুল রয়েছে।

Barasat School: ‘স্কুলে তুলসীর মালা পরে আসা যাবে না’, বারাসতের স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক
কী বলছেন প্রধান শিক্ষিকা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2025 | 4:34 PM
Share

বারাসত: তুলসীর মালা পরে স্কুলে আসা যাবে না। বারাসতে সরকারি স্কুলে নির্দেশিকা ঘিরে বিতর্ক। ভাইরাল প্রধান শিক্ষিকার একটি অডিয়ো ক্লিপ। যেখানে তাঁকে বলতে দেখা যাচ্ছে স্কুলে কেউ তুলসীর মালা পরে আসবেন না। এখানেই শেষ নয়, স্কুলে কেউ তুলসীর মালা পরে আসছেন কিনা তা গেটে দাঁড়িয়ে সেদিকেও নজরজারি চালান ওই শিক্ষিকা। তাতেই ক্ষোভের সঞ্চার অভিভাবকদের মধ্যে। প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে অবিলম্বে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের কথাও বলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর ও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি। বিতর্কের মুখে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রানী দত্ত চক্রবর্তী।

বারাসত নবপল্লী যোগেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যামন্দিরের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ভাইরাল অডিয়োতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কাল ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পুরো স্কুল রয়েছে। গলায় তুলসীর মালা হাতে, কাঁধে কিছু পরে ঢুকবে না। তুলসীর মালা পরে ঢুকবে না। ফোন নিয়ে আসবে না। নিয়ে এলে আমাদের কাছে জমা দিয়ে যাবে।’ যদিও এই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। যদিও বিতর্কের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের কাছে এ নিয়ে শুরুতে একটি বাক্যও খরচ করতে চাননি ওই প্রধান শিক্ষিকা। কেন এই ফতোয়া জারি করেছেন তা নিয়ে কিছুই বললেনি। 

গোটা ঘটনায় বিরক্ত স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি চম্পক দাস। তিনি প্রধান শিক্ষিকাকে রীতিমতো ধমকও দেন বলে খবর। তিনি সাফ জানান এই ধরনের ফতোয়া জারি করা যায় না। ধমকের পর কিছুটা সুর বদল করেন প্রধান শিক্ষিকা। তিনি বলেন, কোনও একদিন তিনি দেখেছেন তুলসীর মালা ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছে। কারও পায়ে লেগেছে। সে কারণে তিনি এই ফতোয়া জারি করেছেন। কিন্তু, বাস্তবে এই ফতোয়া চলবে না বন্ধ হয়ে যাবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

পরিচালন সমিতির সভাপতি চম্পক দাস বলছেন, “দু’দিন আগেও একটা মিটিং করেছি। সেখানে সে জানায়নি। তুলসীর মালা খুলে ফেলার কথা কেউ কাউকে বলতে পারে না। বলে থাকলে ভুল বলেছে। এর জন্য বিবৃতি দিয়ে ওর ক্ষমা চাইলে ভাল হয়।” 

এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “এটা তো নিয়ম হতে পারে না। বৈষ্ণব পরিবারের কেউ তো পরতেই পারে। যার যার ধর্ম সে তার তার ধর্ম পালন করবে।” আর একজন বলছে, “এর সঙ্গে পড়াশোনার কোনও সম্পর্ক নেই।” অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকা বলছেন, “আমি বাচ্চাদের বুঝিয়েছি আমাদের তাবিজ-কবজ অনেক কিছু আছে। আমরা সেগুলি দেখাই না। সেই জন্য ওদের বলেছি তোরা তুলসীর মালা খুলে আসিস। কারণ তোরাই বলছিস ছিঁড়ে যাচ্ছে। পায়ের তলায় পরে যাওয়া তো ঠিক নয়। বাচ্চাদের ধর্মে আঘাত করার ইচ্ছা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থাকে না।”