Didir Doot: কলেজে উঠেও ‘স্কুলের’ ছাত্র, পড়াচ্ছেনও মাদ্রাসা হাইস্কুলের শিক্ষকরা; মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ
কলেজে উঠেও 'স্কুলের' ছাত্র, পড়াচ্ছেনও মাদ্রাসা হাইস্কুলের শিক্ষকরা; মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ।
জলপাইগুড়ি: ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) হয়ে জনসংযোগে গিয়ে এবার মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষকদের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক (Buluchik Baraik)। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) গাদং হুজুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা স্কুল লাগোয়া কলেজের বিল্ডিং তৈরি হলেও নেই কোনও শিক্ষক। এমনকি ক্লাসে নেই চেয়ার-টেবিলও। এদিকে, খাতায়-কলমে কলেজের ক্লাস চালু হয়ে গিয়েছে। স্নাতক স্তরের পড়ুয়াদের ক্লাস হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে এবং ক্লাস নিচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকেরাই। বছরের পর বছর ধরে এভাবে কলেজ চলতে থাকায় রবিবার মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষকেরা। যদিও বিষয়টি শিক্ষা দফতরের অধীনে বলে এড়িয়ে যান মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক।
জানা গিয়েছে, রবিবার, ছুটির দিনে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে আসেন রাজ্যের অনগ্রসর আদিবাসী শ্রেণি কল্যাণ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায়, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য এবং এলাকার প্রধান সহ অন্যান্য দলীয় কর্মীরা। বুলুচিক বড়াইক প্রথমে গাদং-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া এলাকায় একটি মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর সেখান থেকে সোজা চলে যান গাদং হুজুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা পরিদর্শনে। সেখানে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান, তাঁদের সমস্যার কথা। তখনই স্কুল লাগোয়া কলেজের অব্যবস্থার ছবি মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
গাদং হুজুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, প্রায় ৬ বছর আগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজের জন্য কংক্রিটের বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, কেবল বিল্ডিংটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে নেই কোনও চেয়ার-টেবিল, না এসেছে কোনও শিক্ষক। এদিকে, কলেজে ছাত্র ভর্তি হয়ে শিক্ষাবর্ষ চালু হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই কলেজ-বিল্ডিং লাগোয়া মাদ্রাসা হাইস্কুলেই স্নাতক স্তরের ছাত্রদের ক্লাস চলছে এবং বাধ্য হয়ে ওই ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছেন মাদ্রাসা হাই স্কুলের শিক্ষকেরাই।
শুধু কলেজ সমস্যা নয়, হাই মাদ্রাসা স্কুলটির পরিকাঠামোরও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকেরা পানীয় জলের সমস্যা, মিড ডে মিলের জন্য শেড না থাকায় সমস্যার কথাও মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। যদিও কলেজের সমস্যার বিষয়টি শিক্ষা দফতরের ব্যাপার। তাঁর কিছু করার বা বলার নেই বলে জানান আদিবাসী শ্রেণি কল্যাণ দফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তবে তিনি অভিযোগ শুনেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। মাদ্রাসা স্কুলের পরিকাঠামোর বিষয়টিও তিনি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
গাং মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী বুলুচিক বড়াই যান এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজন সারেন এবং জনসংযোগ করেন তিনি। রাত্রিযাপনও করবেন সেখানেই এক কর্মীর বাড়িতে। এরপর সোমবার সকালে ওই দলীয় কর্মীর বাড়িতে বসেই এলাকাবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনবেন বুলুচিক বড়াইক।