Suvendu Adhikari: ‘বরখাস্ত করা নেতাকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল’, দেবাশিসকে ‘ছিন্নমূল’ তকমা দিয়ে তোপ শুভেন্দুর
সাগরদিঘির তৃণমূল প্রার্থীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দুর। পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়ক।

সাগরদিঘি: সাগরদিঘি (Sagardighi) উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (Debashis Banerjee)। এবার তাঁকে নিশানা করেই উপ-নির্বাচনের প্রচারে ঝড় তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ছিন্নমূল’ তকমা দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকেও একহাত নেন শুভেন্দু। একসময়ে প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহাকে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই পরাজিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন পুনরায় তৃণমূলকে কোম্পানি এবং পরিবারতন্ত্রের দল বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
জানা গিয়েছে, সাগরদীঘি উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিজন হিসাবে পরিচিত। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল দলকে পরিবারতন্ত্রের দল বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে ২০১৬ সালের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “২০১৬ সালে সুব্রত সাহা তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পরাজিত করার চেষ্টা করছিলেন বলে জানান সুব্রত সাহা।” এরপর কোন্দল ঠেকাতে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে সরানোর দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর উপরই দেন এবং তিনি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। সেই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তৃণমূল এবারের নির্বাচনে প্রার্থী করায় তাঁকে ছিন্নমূল বলে তোপ দাগেন শুভেন্দু। এপ্রসঙ্গে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ধরনের ছিন্নমূলদের স্থান নেই সাগরদিঘিতে, এটা প্রমাণ করতে হবে।” একইসঙ্গে তৃণমূল দল প্রসঙ্গে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল এখন কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এটা একটা কোম্পানি, পরিবারতন্ত্রের দল।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। আবাস যোজনা থেকে শৌচালয় তৈরি, এমনকি আমফানের টাকাও শাসকদলের নেতারা নিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের বদলে শাসকদলের নেতারাই আত্মীয়দের নামে আবাস যোজনায় একাধিক বাড়ি নিয়েছেন অভিযোগেও সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আবার NRC নিয়ে তৃণমূল মানুষকে মিথ্যা ভয় দেখিয়েছে বলেও দাবি জানান তিনি। এপ্রসঙ্গে সংখ্যালঘুদের আশ্বস্ত করে উত্তরপ্রদেশ, অসমের উদাহরণ তুলে ধরেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এই সমস্ত রাজ্যে একজনও সংখ্যালঘুকে রাজ্যছাড়া করা হয়নি।
যদিও দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “শুভেন্দুবাবুর মাথা গরম হয়ে গিয়েছে। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।” একইসঙ্গে সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসার জন্য ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে এদিন শুভেন্দু যে অভিযোগ করেছেন, তারও পাল্টা জবাব দেন বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “আমি যদি টাকা নিয়ে থাকি তাহলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য কত টাকা নিয়েছেন? এখন তো ইডি, সিবিআই সব ওদের হাতে। ওদের দিয়ে তাঁর এবং আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক।”
