Suvendu Adhikari: ‘ডিএ আন্দোলনকারীদের গায়ে আঁচড় লাগলে মাঠে নামব’, হুঙ্কার শুভেন্দুর
কোনও আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগে, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে পাশে থাকবেন বলে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রাম: ডিএ (DA) আন্দোলনের জেরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগলে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আবার আরও একধাপ এগিয়ে সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান সকলকে শোনাতে নন্দীগ্রামে বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই নন্দীগ্রামে এসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী, ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। আগামী বুধবার ডিএ আন্দোলন মঞ্চের ১০০ মিটারের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “কলকাতায় সভা করার অনেক জায়গা ছিল। ব্রিগেডে সভা হতে পারত। যদি কোনও আন্দোলনকারী সরকারী কর্মচারী বা শিক্ষকদের গায়ে আঁচড় লাগে, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে আমরা তাঁদের পাশে থাকব। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামব।” অন্যদিকে, কলকাতা থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “সব শোকজ লেটার ছিড়ে ফেলে দিন। সসমস্ত আইনি সুরক্ষা আমরা দেব। বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা সার্ভিস ব্রেক হতে দেবো না। আপনারা আপনাদের লড়াই চালিয়ে যান।”
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে আন্দোলনে বসেছেন তাঁরা। একদিনের ধর্মঘটও করেছেন। যার বিরুদ্ধে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে নবান্ন। এর প্রতিবাদে সোমবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থও হতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার রাজ্য আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাঁর কাছেও বকেয়া ডিএ-র দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন ডিএ নিয়ে পরোক্ষে রাজ্যকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকারের নামে রাজ্য যে কাজ করতে চাইছে তার বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নাম বদলে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করতে চাইছেন। কিন্তু, মানুষ সব জানে। চুরি আর দুর্নীতি ছাড়া এ সরকার আর কিছু জানে না।” আবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর বাবাকে নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ, “আমার বাবার নাম করে বিধানসভায় কোন ব্যাঙ্গাত্মক কথা বললে আমি প্রতিবাদ করি। আর উদয়ন গুহ ভালো হওয়ার জন্যে নিজের বাবাকে চোর বলছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু নেই। এটাই তৃণমূলের কালচার।”