‘জেলা সভাপতি হিসাবে শেষ মিটিং কিনা জানি না’, দলত্যাগের জল্পনা উস্কে দিলেন জিতেন্দ্র
তিনি বলেন, জানি না জেলা সভাপতি হিসাবে এটাই আমার শেষ মিটিং কিনা৷ (দল) যদি চায়, এক মিনিটের মধ্যে আমার দুটি পদ ছেড়ে দেব, নিজে মনস্থির করে রেখেছি৷
পূর্ব বর্ধমান: দলের মধ্যেই ক্ষোভের সুর বেড়েই চলেছে তৃণমূলের অন্দরে। দুর্গাপুরের সাগরভাঙ্গায় বেসরকারি কারখানার সামনে আইএনটিটিইউসি-র ডাকা শ্রমিক সংগঠনের সভায় যোগ দিয়ে বুধবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)৷ তিনি বলেন, জানি না জেলা সভাপতি হিসাবে এটাই আমার শেষ মিটিং কিনা৷ (দল) যদি চায়, এক মিনিটের মধ্যে আমার দুটি পদ ছেড়ে দেব, নিজে মনস্থির করে রেখেছি৷
জিতেন্দ্রর পাশাপাশি একই সুরে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়াল। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, দল বললে সন্ধের মধ্যেই ইস্তফা দিয়ে দিতে তৈরি তিনি। নাম না করে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, সভা করতে দেওয়া যাবে না। ওকে আটকে রাখো, পিছন থেকে ধরে রাখো, এভাবে আর কতদিন ধরে রাখবেন। সত্যিটা যদি সামনে চলে আসে তাহলে কিন্তু মুশকিল। এখানেই থেকে না থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি উষ্মাপ্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের অবস্থা হয়েছে কালিদাসের মতো। যে ডালে বসে আছেন, সেই ডালই কাটার চেষ্টা করছেন। এতে আমার ক্ষতি হোক না হোক, দলের ক্ষতি হচ্ছে। দল কালকে থাকবে না। আপনারাও থাকবেন না।
আরও পড়ুন: ফাঁসিয়ে দিতে পারে রাজ্য পুলিস! রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি শুভেন্দুর
বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিয়েছেন ডানকুনি পুরসভার উপ-পৌরপ্রশাসক তথা ডানকুনি তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা দেবাশীষ মুখার্জীও। এদিন তিনি সরাসরি জানান, তৃণমূল দল যে সংগ্রাম আর নীতি-আদর্শ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, সেটা আর তৃণমূল দলে নেই। সেই কারণেই দলের বহু সাংসদ ও বিধায়ক দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুলছে।‘
তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোরকে কর্পোরেট সংস্থার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, তৃণমূল দলের নেতা কর্মীদের প্রতি ভরসা নেই। তাই যারা পশ্চিমবাংলা সম্পর্কে কিছু জানেই না, সেই কর্পোরেট সংস্থাকে আনা হয়েছে। তাতে দলের আরো বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুব্রত, কেষ্টকেও ফোন করল বিজেপি! তাঁদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানালেন মমতাই