Sreerampur: আন্দোলনের চাপে সন্দীপদের গ্রেফতার করেছিল CBI: কল্যাণ
Sreerampur: শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন,"সিবিআই যখন সন্দীপ ঘোষ আর ওসিকে গ্রেফতার করলো তখন তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও সে কথা বলেছিল। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারল না।
শ্রীরামপুর: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিনের পর থেকেই যেমন ক্ষোভে ফুঁসছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। তেমনই পথে নেমেছেন নাগরিক সমাজ ও চিকিৎসকরা। শনিবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, সিবিআই-কে ডেকে এনেছিলেন তিলোত্তমার মা-বাবা। তাই এই ঘটনার জন্য তাঁরাই দায়ী। আর রবিবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসিকে তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আন্দোলনের চাপে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।”
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন,”সিবিআই যখন সন্দীপ ঘোষ আর ওসিকে গ্রেফতার করলো তখন তাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। এমনকী সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও সে কথা বলেছিল। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্যে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারল না। ৯০ দিনের মধ্যে যদি চার্জশিট জমা না দিতে পারে স্বাভাবিকভাবেই জামিন পাবে। এটা হল আইনের কথা।” তিনি আরও বলেন, “এ প্রসঙ্গে আমি আগেই বলেছি,ক্রিমিনাল কেসে, কে অভিযুক্ত হবে, কার বিরুদ্ধে চার্জশিট হবে, কার বিরুদ্ধে কনভিকশন হবে সেটা আমার অনুমানের উপর নির্ভর করে না। এর জন্য সাক্ষ্য প্রমাণ চাই। কিন্তু আজ যে জিনিসটা দেখা যাচ্ছে সিবিআই যে গ্রেফতার করেছিল তা সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই করেছিল। যাঁরা আন্দোলন করেছিল ডাক্তাররা তাদের চাপেই সিবিআই এটা করেছে। এখন যদি দেখা যায় যে সিবিআই সত্যি সত্যি ওদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দিতে পারে তাহলে ৯০ দিনের আটকে রাখাটা তো বেআইনি হয়ে গেল।”
কল্যাণের প্রশ্ন, “এটা কাদের জন্য হল? এরা চাপ দিয়ে করাচ্ছে। থ্রেট কালচার কারা করছে সেটাই এখন দেখার,আন্দোলনের নামে থ্রেট চলছে। আন্দোলন করে কিছু হয় না। যারা নেমেছেন তাদের বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। আপনারা তথ্য প্রমাণগুলো সিবিআই- এর হাতে দিয়ে দিন।”