Mamata Banerjee: ‘এর পর বলবেন ঘরের মধ্যেও একটা জেলা চাই’, বিধায়কের আবদার শুনে খাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee rebukes TMC MLA: "এমএলএ-রা যদি মনে করে চিপ কথাগুলো বলবে, তাহলে কিন্তু এমএলএ-দের বলতে অ্যালাও করব না। আই অ্যাম সরি। আমি এটা নেবই না... ইজ দেয়ার দাবি ইজ় জেনুইন তখন করব।''

Mamata Banerjee: 'এর পর বলবেন ঘরের মধ্যেও একটা জেলা চাই', বিধায়কের আবদার শুনে খাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী
প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 9:51 PM

কর্ণজোড়া: “এসব চিপ কথা এখানে বলবেন না… এর পর বলবেন ঘরের মধ্যেও একটা জেলা চাই”। প্রশাসনিক বৈঠকে এভাবেই কড়া ধমক দিয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক করিম চৌধুরীকে বসিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কিন্তু কেন এমন রেগে গেলেন মমতা?

মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয় কর্ণজোড়ায়। সেখানে বিধায়কদের খবরাখবর নেওয়ার সময় মাইক হাতে বলতে ওঠেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী। বিধানসভা ভোটের আগে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে করিম এদিন বলতে উঠলেও তাঁর কথা প্রথমে বুঝতে পারেননি মমতা। তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ছোট করে বক্তব্য রাখতে বলেন। জানান অন্যদেরও সময় দিতে হবে। এদিকে এক মিনিট সময় চেয়ে তৃণমূল বিধায়ক তখন কাটিয়ে দিয়েছেন আরও কয়েক সেকেন্ড। এর পর কার্যত অসন্তোষের সুরে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “আরে আপনার কী বলার আছে সেটা বলুন না! কী চাই আপনার?”

তার পর করিম চৌধুরী বলেই ফেললেন এবং সঙ্গে সঙ্গে জুটল বকুনি। ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, “ইসলামপুরপকে একটা আলাদা জেলা করে দেওয়া হোক”। আর তা শোনা মাত্রই ঝাঁঝিয়ে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, “এসব চিপ কথা এখানে বলবেন না। কোথায় কী বলতে হয় জানুন। এর পর তো বলবেন ঘরের মধ্য়ে একটা জেলা চাই!” এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি যোগ করেন, “এত অফিসার কই! আপনাদের তো পুলিশ জেলা করে দেওয়া হয়েছে। ওইটুকু জায়গা, তার আবার আলাদা জেলা!”

এদিকে তখনও মাইক হাতে করিম চৌধুরীকে দেখা যায়, তিনি আরও কিছু বলার চেষ্টা করছেন। এবার মমতা কার্যত ধমকে উঠে বলেন, “এই চুপ করে বসুন তো। অনেক বকেছেন। এই লোকটা প্রচুর বকে। উফফ!… যতই দাও কেবল নাই। এই এক ঝামেলা। ”

উল্লেখ্য, এই করিম চৌধুরী বিধানসভা ভোটের আগে একেবারে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমলা, অফিসারদের কথায় সরকার চালাচ্ছেন। যা ঠিক নয়। তাঁর এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হন শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও ভোটে লড়ার টিকিট পেতে অসুবিধা হয়নি করিম চৌধুরীর।

এদিন জেলা চেয়ে মমতার কাছে ধমক খেয়ে তাঁকে শুনতে হয়, “একটা ডিস্ট্রিক্ট করতে গেলে তার অনেক কাজ করতে হয়। আপনার কী অসুবিধা আছে? রায়গঞ্জ থেকে ইসলামপুর কতটা? আপনি সুন্দরবন দেখেছেন কত বড়? আপনি মুর্শিদাবাদ দেখেছেন কত বড়? বসুন, বসুন। জিতে গেছেন এখন ভাল করে কাজ করুন। ওসব হবে না এখন। ছাড়ুন। তাহলে এমএলদের কিন্তু আমি আর বলতে দেব না।” ক্রুদ্ধ স্বরে মমতা বলেন, “এমএলএ-রা যদি মনে করে চিপ কথাগুলো বলবে, তাহলে কিন্তু এমএলএ-দের বলতে অ্যালাও করব না। আই অ্যাম সরি। আমি এটা নেবই না… ইজ দেয়ার দাবি ইজ় জেনুইন তখন করব।”

পরে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার পর অবশ্য একটু ঠান্ডা হন মমতা। তার পর হাসতে হাসতে বলেন, “করিমদা ছাড়া এখানে কেউ ঝগড়া করে না। করিমদা ছেলে ভাল আছে?” এর পর করিম চৌধুরী আবার অনেক কথা বলতে যান। অনেক কথাই বুঝতে পারেননি মমতা। তবে মমতা তাঁকে বলতে শোনেন, ‘জাকির তো অ্যান্টি গ্রুপ না? হি ইজ নট ফলোয়িং মি।” শুনেই মমতা  বলেন, ” এটা প্রশাসনিক বৈঠক। ঠিক আছে ঠিক আছে… প্রবলেম আছে। আপনার সার্কিট হাউস ঠিক আছে? মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ঠিক আছে? সবই পান তাও হয় না।”

আরও পড়ুন: Pamela Goswami: মাদক কাণ্ডে ২৯২ দিন পর জামিন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর