চোপড়া: ব্লক থেকে শহর, রাজ্যজুড়ে বিজয়ী সম্মিলনীতে মেতে উঠেছে শাসকদল। দিকে দিকে চলছে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও দলের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনীর। সেখানেই হাজির ছিলেন চোপড়া থানার আইসি সঞ্জয় দাস। গায়ে পুলিশের উর্দি। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমানের উপস্থিতিতে তাঁকে সংবর্ধনাও জানানো হয় তৃণমূলের তরফে। মঙ্গলবার এ ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। উর্দি পরে পুলিশ কর্তার তৃণমূলের থেকে সংবর্ধনা নেওয়ার ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। যদিও সেসবে বিশেষ আমল দিতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজক তৃণমূল। বিজায় সম্মিলনীর মঞ্চেয় যাঁদের দেখা গিযেছে তাঁরা সব এক একটা নামজাদা মাফিয়া। সেই মাফিয়াদের সঙ্গে আলিঙ্গন করছেন চোপড়ার আইসি। আসলে উনি এসবের দ্বারা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। চোপড়াতে লাগাতার অশান্তির কারণ কিন্তু এই মাফিয়া রাজ। আর তা দমন করতে ব্যর্থ আইসি। অথচ তাঁকে সেই মাফিয়াদের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।”
অন্যদিকে বিজেপির কটাক্ষকে আমল না দিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলছেন, “বিরোধীরা এসব বলবেই। আসলে গোটা রাজ্যেরই তো তৃণমূলকরণ হয়ে গিয়েছে। এখানে তো তৃণমূল ছাড়া আর কেউ নেই।”