AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Raiganj Domestic Violence: চার চাকা গাড়িতেও সন্তুষ্ট নয়, স্ত্রীর কাছ থেকেই লাগবে আরও অনেক টাকাপয়সা, প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অভিযোগ

Raiganj Domestic Violence: পণের দাবিতে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।

Raiganj Domestic Violence: চার চাকা গাড়িতেও সন্তুষ্ট নয়, স্ত্রীর কাছ থেকেই লাগবে আরও অনেক টাকাপয়সা, প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অভিযোগ
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার অধ্যাপকের স্ত্রী
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 8:18 AM
Share

রায়গঞ্জ:  রায়গঞ্জ শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে পণের দাবিতে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা(Zoology) বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ উঠেছে । অধ্যাপক স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা। মধ্যরাতে রায়গঞ্জ থানায় হাজির হন তিনি। রিমু রায় সরকার নামে ওই গৃহবধূর বয়ান অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা পেশায় রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিবেক রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মোটা অঙ্কের নগদ টাকা ও চার চাকা গাড়ি দাবি করা হয়েছিল। মেয়ের পরিবারের তরফে তা দেওয়াও হয়। কিন্তু তাতেও মন ভরেনি স্বামী-শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। অভিযোগ, নতুন করে টাকা চেয়ে বিয়ের ক’দিন পর থেকেই শুরু হয় অত্যাচার।

এসবের মাঝেই বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় স্বামী কর্মসূত্রে রায়গঞ্জে চলে যান। স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে আসেন। এরপর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে ফোনেও আর কোনওরকম যোগাযোগ রাখছিলেন না তিনি। স্ত্রী ফোন করলেও, বিশেষ কথা বলতে চাইতেন না অধ্যাপক।

এদিকে, পণের দাবিতে শ্বশুর-সহ পরিবারের অনান্য সদস্যরা অত্যাচার শুরু করতে থাকেন বলে অভিযোগ। দূর থেকে স্বামীও তাতে ইন্ধন দিতেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান রিমু। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাঁকে তাড়িয়ে দেন স্বামী। এরপরই নিজের বাবাকে খবর দেন রিমু।

গভীর রাতে রায়গঞ্জ থানায় মেয়ের স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি ও দেওরের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। যদিও অভিযুক্তের পক্ষে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে ওই মহিলার দায়ের করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।