ছম! ছম! ছম! রাত হলে রোজ নাকি হেঁটে যায় এক জোড়া নুপুর পরা পা, কে থাকে স্কুল চত্বরে? আতঙ্কে পড়ুয়ারা

 স্কুলের নাইট গার্ডের দাবি, রাত হলেই স্কুল চত্বরে কখনও শোনা যায় মেয়েদের খিল খিল হাসি, কখনও হেঁটে যায় নুপুর পরা পা, কখনও বা কেঁদে ওঠে কেউ।

ছম! ছম! ছম! রাত হলে রোজ নাকি হেঁটে যায় এক জোড়া নুপুর পরা পা, কে থাকে স্কুল চত্বরে? আতঙ্কে পড়ুয়ারা
কুশিদা উচ্চ বিদ্যালয়, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2021 | 11:16 PM

মালদা: মাত্র ২৩ সেকেণ্ডের অডিও রেকর্ড (Audio)। মাত্র ২৩ সেকেণ্ডের সেই অডিও রেকর্ড (Audio) নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রেকর্ডে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে নুপুর পরা পায়ে কেউ হেঁটে চলেছে। যাঁরা রেকর্ড করেছেন তাঁদের কথোপকথনেও স্পষ্ট, নুপুরের আওয়াজটি সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। আর সেইজন্যেই প্রমাণস্বরূপ এমন অতিপ্রাকৃত শব্দ রেকর্ড করেছেন তাঁরা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর কুশিদা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সরস্বতী পুজোর রাতে জনাকয়েক পড়ুয়ার ফোনে ধরা পড়েছে এই অতিপ্রাকৃত অডিও রেকর্ডটি।তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলে।

স্কুলের নাইট গার্ডের দাবি, রাত হলেই স্কুল চত্বরে কখনও শোনা যায় মেয়েদের খিল খিল হাসি, কখনও হেঁটে যায় নুপুর পরা পা, কখনও বা কেঁদে ওঠে কেউ। দীর্ঘদিন ধরেই এমন হয়ে আসছে। সরস্বতী পুজোর রাতেও প্রায় একই ঘটনার সাক্ষী থাকেন কিছু পড়ুয়া। এমন ভুতুড়ে পরিবেশে আর কাজ করতে চাইছেন না গার্ড। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ুয়াদের মনেও।

স্থানীয়দের দাবি, স্কুলের অনেকগুলি ঘর অব্যবহার্য। ভাঙা, অন্ধকার ও আবর্জনাময়। খুব সহজেই তাই ‘অপদেবতার’ না হলেও অপরাধের ঘাঁটি হতে পারে স্কুল চত্বর।

আরও পড়ুন: বাগদেবীর আরাধনায় উত্তাল নাচ, যুগলের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভাইরাল হতেই বিতর্কে বালুরঘাট কলেজ

এ প্রসঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়ারাই মজা করে এই ধরনের রেকর্ড (Audio) তৈরি করেছে। এর আগে স্কুলে ভোটকর্মীরা রাত কাটিয়েছেন। কখনও কেউই এমন কিছু শুনতে পাননি। তবে গোটা ঘটনাই তদন্ত করে দেখা হবে। প্রয়োজনে বিজ্ঞান মঞ্চের তরফ থেকেও স্কুল পরিদর্শন করানো হবে।

আরও পড়ুন: স্কুল খোলার প্রথম দিন, ক্লাসরুমে লাইভ ভিডিয়োয় অশ্লীল নাচ পড়ুয়াদের, সমালোচনা

প্রায় একইকরম কথা বলেছেন কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ নুর আজমের। তাঁর বক্তব্য, এই স্কুলে করোনাকালে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছিল। ভোটের সময়ে ভোটকর্মীরাও এখানে রাত কাটিয়েছেন। গ্রামবাসীরাও কখনও এ ধরনের কোনও অভিযোগ করেননি। স্কুল পড়ুয়ারাই মজা করতে এই কাজ (Audio) করেছে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে স্কুলের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।