Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

স্কুল খোলার প্রথম দিন, ক্লাসরুমে লাইভ ভিডিয়োয় অশ্লীল নাচ পড়ুয়াদের, সমালোচনা

ফেসবুক লাইভে গিয়ে বেঞ্চে দাঁড়িয়ে নাচানাচি, অশ্লীল কথাবার্তা কোনওকিছুই বাদ দিল না পড়ুয়ারা

স্কুল খোলার প্রথম দিন, ক্লাসরুমে লাইভ ভিডিয়োয় অশ্লীল নাচ পড়ুয়াদের, সমালোচনা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 13, 2021 | 8:55 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর: করোনা আবহে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে স্মার্ট ফোন ছাড়া গতি নেই পড়ুয়াদের। অনলাইন ক্লাস করতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পড়ুয়ারা কি স্মার্টফোনের সঠিক ব্যবহার করছে? সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বালুরঘাটের এক নামী স্কুলের পড়ুয়াদের অশ্লীল ভিডিয়ো পোস্ট।

অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুল। প্রায় ১১ মাস পরে স্কুল খুলেছে শুক্রবার। আর স্কুল খোলোর প্রথম দিনে ক্লাসের মধ্যে ফেসবুক লাইভ করতে শুরু করে দেয় বালুরহাটের দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন পড়ুয়া। টেবিলে উঠে নাচ, গান থেকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি কিছুই বাদ যায়নি। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কী ছিল এই ফেসবুক লাইভে?

আরও পড়ুন: বেশ কিছুদিন দেখা যাচ্ছিল না ভাই-বোনকে, ঘর থেকে হঠাৎ বেরতে শুরু করে পচা গন্ধ!

বালুরহাট স্কুলের ওই পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে বসে ফেসবুক লাইভ করে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, প্রত্যেক পড়ুয়ার মুঠোতে রয়েছে স্মার্টফোন। স্কুল চলাকালীন তাদের কেউ কেউ বেঞ্চে দাঁড়িয়ে, কেউ আবার শিক্ষকের চেয়ারে বসে অশ্লীল কথাবার্তা অঙ্গভঙ্গি করছে। কাউকে কাউকে দেখা যায় উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচছে, কেউ মগ্ন মোবাইল গেমে। তাছাড়া রয়েছে চটুল গান চালিয়ে নাচানাচি। এই পুরো দৃশ্য ফেসবুক লাইভে চলায় তা নজর এড়ায়নি অভিভাবকদের। অনেকে লাইভ ভিডিয়োয় এই ঘটনার সমালোচনা করলেও সেসবে পরোয়া করেনি ওই পড়ুয়ারা।

পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় ভিডিয়ো ডিলিট করিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভিডিয়ো। তীব্র সমালোচিত হয় পড়ুয়ারা। বিষয়টি নজরে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযুক্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যতদিন ওই পড়ুয়ারা ক্লাস করবে তাদের উপর বাড়তি নজরদারি চালাবে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ পাশাপাশি প্রতিদিন পড়ুয়ার একজন অভিভাবককে স্কুলে আসতে হবে এবং তাদেরকেও নজরদারি চালাতে হবে নির্দেশ স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ এনিয়ে অভিভাবক ও অভিযুক্ত পড়ুয়ারা কোন মন্তব্য করতে চাননি। সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের দেখে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান অভিভবাকরা।

এর আগে রবীন্দ্রনাথের গান বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল মালদার কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া। এখন করোনা আবহে অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় স্মার্টফোন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্লাসে বসে প্রযুক্তির এই অপব্যবহারের তীব্র সমালোচনা করছে ওয়াকিবহাল মহল।