Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সবাই অশিক্ষিত নয়’, তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে মুড়ি খেয়ে বললেন তন্ময়

তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটিয়ে যাঁরা ‘পরিবর্তন’ এনেছিলেন, তাঁদের সকলেই ‘অশিক্ষিত বা অভব্য’ নন।

'সবাই অশিক্ষিত নয়', তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে মুড়ি খেয়ে বললেন তন্ময়
ছবি সূত্র: ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Mar 16, 2021 | 2:03 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: গিয়েছিলেন প্রচারে। খেয়ে এলেন মুড়ি। তাও আবার সবুজ শিবিরের (TMC) পার্টি অফিসে। তিনি বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। সংযুক্ত মোর্চার তরফে বাম প্রার্থী হয়ে উত্তর দমদমে মনোনীত হয়েছেন তন্ময়। রবিবার সন্ধ্য়ায়, এ হেন অভিনব প্রচারের সাক্ষী থাকল গোটা দুর্গানগর।

পরিকল্পনামাফিক, এদিন প্রচারে যান তন্ময়। তারপর সোজা চলে যান স্বাধীনতা সংগ্রামী মাধব দে স্মৃতি ভবন তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে (TMC)। সেখানে, তৃণমূল কর্মীদের বাটি থেকে মুড়ি খেয়ে রীতিমতো খোশগল্পও করেন। পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।

তন্ময়ের এই ‘সৌজন্য প্রচার’-এর ছবি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন এক বাম সমর্থক (CPM)। তিনি লিখেছেন, “উত্তর দমদম বিধানসভা, আজ দুর্গানগরে ভোট প্রচার ! এই ছবি গুলো হয়ে উঠুক পশ্চিমবঙ্গের আদর্শ , কোভিড ও এমফানে বহু সহ নাগরিক আমরা হারিয়েছি ! রাজনৈতিক হানা হানি নয় বজায় থাক সৌভ্রাতৃত্ব, বজায় থাক ভালোবাসা ও সম্মান। আমার দুর্গানগর পথ দেখাক সারা পশ্চিমবঙ্গকে !প্রার্থী – কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্য!”

প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘সৌজন্যের রাজনীতি’র পথ বেছে নিয়েছে দলগুলি। কিছুদিন আগে খেজুরির তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম দাস বিজেপির (BJP) দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে হাতজোড় করে ভোট চেয়েছিলেন। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ শাসক শিবিরের একাংশ। এ বার সেই একই ছবি দুর্গানগরেও।

যদিও, এ প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, চৌত্রিশ বছরের বাম (CPM) শাসনের পতন ঘটিয়ে যাঁরা ‘পরিবর্তন’ এনেছিলেন, তাঁদের সকলেই ‘অশিক্ষিত বা অভব্য’ নন। অনেকেই আছেন, যাঁরা সত্যিই মানুষের কথা ভাবেন, মানুষের হয়ে কাজ করেন। তাঁদের জন্যই এই সম্প্রীতির বার্তা। শুধু নির্বাচন বলে নয়, পরেও রাস্তায় দেখা হলে মুখ ফেরাবেন না তন্ময়।

এ প্রসঙ্গে, দলের অপর প্রার্থী যাদবপুরের বিদায়ী বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর দাবি, সম্প্রীতির রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গে বরাবরই ছিল। তৃণমূল সরকার আসার পর সেই  সৌজন্যবোধ নষ্ট হয়েছে। তবে, সতীর্থ তন্ময়ের এ হেন ‘সৌজন্য প্রীতি’তে বিন্দুমাত্র আপত্তিকর দেখছেন না বাম নেতা।

আরও পড়ুন: জোড়াফুলে নয়, নির্দল প্রার্থী হবেন ‘অভিমানী’ মইনুদ্দিন, মুখে কুলুপ কেষ্টর