AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Israel-Hamas War: ইজরায়েলি হামলায় একসঙ্গে পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আল জাজিরার কর্মী

Israel-Hamas War: বাবা, দুই বোন, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের চার ছেলে-মেয়ে, আট বোনপো-বোনঝি, শ্যালিকা এবং এক কাকা - কেউ বেঁচে নেই। গাজার জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে ইজরায়েলি হামলায় একসঙ্গে পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আল জাজিরা সংবাদমাধ্যমের কর্মী।

Israel-Hamas War: ইজরায়েলি হামলায় একসঙ্গে পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন আল জাজিরার কর্মী
যেখান ছিল উদ্বাস্তু শিবির, এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপImage Credit: AFP
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2023 | 4:57 PM
Share

গাজা সিটি: মঙ্গলবার রাতে গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম উদ্বাস্তু শিবির, ‘জাবালিয়া’-য় ইজরায়েলি বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র এক কর্মীর পরিবারের ১৯ সদস্যের। বুধবার (১ নভেম্বর), আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই হামলায় মহম্মদ আবু আল-কুমসান নামে তাদের গাজা ব্যুরোতে কর্মরত এক ব্রডকাস্ট এঞ্জিনিয়ার, তাঁর বাবা, দুই বোন, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের চার ছেলে-মেয়ে, আট বোনপো-বোনঝি, শ্যালিকা এবং এক কাকাকে হারিয়েছেন। এক বিবৃতি জারি করে আল জাজিরা বলেছে, তারা মহম্মদ এবং তাঁর পরিবারের পাশে আছে। ‘অসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধের’ জন্য অবিলম্বে ইজরায়েলের জবাবদিহি চেয়েছে তারা। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ন্যায়বিচার দাবি করেছে।

জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে হামলার জেরে আন্তর্জাতিক মহলে আরও তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে ইজরায়েল। তবে, ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হামাস অন্যতম প্রধান কমান্ডার ইব্রাহিম বিয়ারি বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধার সঙ্গে সেখানকার এক ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে লুকিয়ে ছিলেন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিত হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিয়ারি, দাবি ইজরায়েলের। সেই কারণেই গাজার শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ করা হয়েছিল। হামলায় বিয়ারির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। সেই সঙ্গে জনা বারো হামাস যোদ্ধাও নিহত হয়েছে। যদিও, হামাসের পাল্টা দাবি জাবালিয়ায় তাদের কোনও নেতা ছিল না।

তাদের দাবি, জাবালিয়া শিবিরে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও অন্তত ১৫০ মানুষ আহত হয়েছেন। ১৯৪৮ সালের ইজরায়েল-আরব যুদ্ধের ফলে বহু প্যালেস্তিনীয় নাগরিক ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন। মূলত, তাঁরাই এই উদ্বাস্তু শিবিরে থাকতেন। গত দুই সপ্তাহ ধরেই ইজরায়েল সমানে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। অনেকে সেই সতর্কতা মেনে সরে গেলেও, অনুমান করা হচ্ছে বহু পরিবারই সেখানে থেকে গিয়েছে।

গাজায় ইজরায়েলি হামলায় এর আগেও সংবাদমাধ্যমের কর্মী বা তাঁর পরিবারের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ অক্টোবর, নুসিরাত উদ্বাস্তু শিবিরের দুটি বাড়িতে, ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল আল জাজিরাই আরবি ভাষার সংস্করণের ব্যুরো চিফ, ওয়ায়েল আল-দাহদুহের স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ের। তার আগে ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে, ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ।