মায়ানমারে ‘সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন’, পুলিশের গুলিতে নিহত ৩৮
মায়ানমারের (Myanmar) একাধিক বড় শহরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চলছিল বুধবার। সেখানেই তখন রণংদেহী মূর্তি ধারণ করে পুলিশ।
ইয়াঙ্গন: হিংসা থামছেই না মায়ানমারে (Myanmar)। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ-আন্দোলনে কেঁপে উঠেছিল মায়ানমার। ১ মাস কেটে গেলেও সেই আন্দোলন থামছে না। বারবার আন্দোলনে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। যার জেরে প্রাণ হারাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবারও গোটা মায়ানমারের একাধিক শহরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র (Aung San Suu Kyi) মুক্তির দাবিতে আন্দোলন বের করেছিলেন দেশের আম আদমিরা। সেই আন্দোলনের শিরদাঁড়া ভেঙে দিতেগুলি চালায় পুলিশ। যার জেরে শুধু বুধবারই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন।
এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন। সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল বুধবারের ঘটনা। মায়ানমারের একাধিক বড় শহরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন চলছিল বুধবার। সেখানেই তখন রণংদেহী মূর্তি ধারণ করে পুলিশ। ছুটে আসে তাজা গুলি। সেই গুলির আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই লাগাতার চাপ বাড়ছে সে দেশের জান্তা সরকারের উপর। দেশের অভ্যন্তর তো বটেই চাপ আসছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ, আমেরিকা, ভারত থেকেও।
যার ফলে আন্দোলন দমাতে ক্রমশ কড়া অবস্থান নিচ্ছে মায়ানমারের সেনা সরকার। সু কি-কে আটক করার সময় সে দেশের সেনা ঘোষণা করেছিল পরবর্তী ১ বছর ক্ষমতা থাকবে সামরিক বাহিনীর হাতেই। তবে পরবর্তীকালে অবশ্য দেশ-বিদেশের সাঁড়াশি চাপে নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছেন সে দেশের সেনাপ্রধান মিন। তবে কবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে কোনও কথাই জানায়নি জান্তা সরকার।
বুধবারই সে দেশে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরল। ৩৮টি তরতাজা প্রাণের মৃত্যুর পর মায়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের দূত শ্রেনার বার্গেনার জানিয়েছেন, বিক্ষোভ শুরুর পর এটাই ছিল ‘সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন।’ মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রায় ৩০০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারীকে আটক করেছে সেনা পুলিশ। আটক হতে হয়েছে সু কি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির একাধিক নেতাকে।
আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে যাওয়া নবজাতক খুঁজে পেল মায়ের কোল