চিন থেকে মুক্ত তিব্বত চান ৮০ শতাংশ ভারতীয়, ইঙ্গিত সি ভোটারের সমীক্ষায়
সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে তিব্বত সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সি ভোটারের সমীক্ষা...
তিব্বত: ১৯৫৯ সালের ঘটনা, লাল ফৌজের হাত থেকে বাঁচতে চিন অধিকৃত তিব্বত (Tibet) থেকে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন চতুর্দশ দলাই লামা (Dalai Lama)। তারপর কেটে গিয়েছে ৬১ বছর। দলাই লামার বয়স এখন ৮৫। পরবর্তী দলাই লামা স্থির করতে মুখিয়ে আছে বেজিং। কিন্তু বেজিংয়ের ঠিক করে দেওয়া দলাই লামাকে মেনে নেবে না তিব্বত। এবার এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে আমেরিকা।
অন্য ফন্দি এঁটেছে বেজিংয়ও। তিব্বতিদের পরবর্তী প্রজন্মে ‘চিন প্রেম’ তৈরির বার্তা আগেই দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখনই তিব্বতি ছাত্রদের পাঠ্যসূচির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে চিন প্রেমের রশদ। সেখানকার যুব প্রজন্মকে নতুন তিব্বত তৈরির স্বপ্ন দেখিয়ে তাদের মন জয় করে নিতে চায় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। যার মাধ্যমে পরবর্তী দলাই লামা নির্বাচনের অধিকার তৎসহ তিব্বতিদের সমর্থনও ছিনিয়ে নিতে চাইছে বেজিং।
এমতাবস্থায় সি ভোটারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে তিব্বত সংক্রান্ত একাধিক তথ্য। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সি ভোটারের সমীক্ষা…
*৮০ শতাংশ ভারতীয় সমর্থন করেন চিন অধিগ্রহণ থেকে মুক্ত তিব্বতকে। *সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দুই তৃতীয়াংশ মানুষ জানিয়েছেন, তারা গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক নেতা তথা আধুনিক ভারত হিসাবে দলাই লামাকে মেনে নিয়েছেন। *দলাই লামাকে ‘ভারতরত্ন’ দিয়ে ভূষিত করার পক্ষেও দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। *সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে তিব্বতকে চিনের ভূখণ্ড হিসাবে মানেন না অধিকাংশরাই। এক-চতূর্থাংশ মানুষ মনে করেন তিব্বত চিনের অধিকৃত ভূখণ্ড। *তিব্বত নিয়ে চিন্তিত ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। *সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মনে করেন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তুলনামূলক কম প্রকাশিত হয় তিব্বতের পরিস্থিতির খবর। *তিব্বতে মানবধিকার নিয়ে সংশয় রয়েছে প্রতি ৩ জন ভারতীয়র মধ্যে ১ জনের। *৮০ শতাংশ মানুষ মনে করেন তিব্বত নিয়ে ভারত সরকারের বড় কিছু করার রয়েছে। * ভারত ও চিনের মধ্যে তিব্বতকে বাফার হিসাবে মানতে রাজি প্রতি ৪ জন ভারতীয়র মধ্যে ১ জন।
আরও পড়ুন: পাক নাগালে আন্দামান! ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া ইমরান প্রশাসনের