Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sunita Williams: একটা ছোট্ট ভুল, নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারেন সুনীতারা

Sunita Williams: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন কোনও মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, একে পুনঃপ্রবেশ বলা হয়। এটাই সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময় ড্রাগন ক্যাপসুলের গতি কমতে শুরু করে।

Sunita Williams: একটা ছোট্ট ভুল, নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে পারেন সুনীতারা
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 18, 2025 | 3:24 PM

সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোরে এবং তাঁদের আরও দুই সফর সঙ্গীকে নিয়ে ইতিমধ্যেই যাত্রা শুরু করে দিয়েছে ইলন মাস্কের মহাকাশযান। মোট সময় লাগবে ১৭ ঘন্টা। মানে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই পৃথিবীতে অবতরণ করবেন তাঁরা। যদিও বিজ্ঞানীরা বলছেন নিরাপদে অবতরণের বিষয়টি মোটেও সহজ হবে না। একটা ভুলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যেতে সুনীতাদের ক্রিউ-১০। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে গোটা মহাকাশযান। কেন এমন হতে পার?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, একটি মহাকাশযান যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন এর গতি কমে যায়। এই সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বটে। যদি ভুল করেও মহাকাশযানের কোণ পরিবর্তন হয়, তাহলেই এতে ঘর্ষণ শুরু হবে। যার ফলে মহাকাশযানটি কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুনের গোলায় পরিণত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন কোনও মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, একে পুনঃপ্রবেশ বলা হয়। এটাই সবচেয়ে কঠিন সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সময় ড্রাগন ক্যাপসুলের গতি কমতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি মহাকাশযানের কোণ পরিবর্তন হয়, তাহলে ঘর্ষণের কারণে এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বলা হচ্ছে যে এই সময়ে মহাকাশযানের ভিতরের তাপমাত্রা ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটলে ভিতরে বর্তমান মহাকাশচারীরা যে আর বেঁচে থাকবেন না তা বলাই বাহুল্য।

পৃথিবীতে প্রবেশ মহাকাশযানের পক্ষে সহজ নয়। মহাকাশে ড্রাগনের সর্বনিম্ন গতি ২৮,০০০ কিমি প্রতি ঘন্টা। তবে এই সময় ড্রাগন ক্যাপসুলের গতি কমতে শুরু করবে। এই কারণেই মহাকাশচারীরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময়টিকে সবচেয়ে কঠিন সময় বলে মনে করেন। তবে নিরাপদে এই বায়ুমন্ডলের গ্যাসের স্তর অতিক্রম করতে পারলে মহাকাশযান সহজেই সমুদ্রে অবতরণ করতে পারবে বলে মত।

মহাকাশযান ড্রাগনে এই পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে? 

লঞ্চ অ্যাবর্ট সিস্টেম ক্রুদের বিপদের সময় রকেট থেকে আলাদা করে দেয়। যা কার্যকর হতে পারে। থার্মাল পড়োটেকশন সিস্টেম তাপ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। যা এই সময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আছে অটোনমাস সিস্টেম। তার জন্য ক্যামেরা, জিপিএস, রাডার ইত্যাদি রয়েছে। ড্রাগনে থাকা স্যুট-সিট সিস্টেম অগ্নি সুরক্ষার বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি ভিতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।