Suspicious Flying Object Shot down: আলাস্কার পর কানাডা! ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় ‘রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তু’র দেখা, আসলে হচ্ছেটা কী?
Canada: মার্কিন নর্দান কম্যান্ডেরস তরফেও জানানো হয়েছে, কানাডা ও আলাস্কার সীমান্ত লাগোয়া ইসুকনে ওই রহস্যজনক বস্তুকে নামানো হয়েছে। শুক্রবার এই অঞ্চলের কাছেই আলাস্কায় একই ধরনের উড়ন্ত বস্তু দেখা গিয়েছিল এবং সেটিকেও নামানো হয়।
ওটায়া: ২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি, এবার কানাডার (Canada) আকাশে দেখা মিলল রহস্যজনক বস্তুর (Suspicious Flying Object)। শুক্রবারের পর আবার শনিবারও কানাডায় দেখা যায় রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তুর। সঙ্গে সঙ্গে তা মিসাইল ছুঁড়ে ধ্বংস করে মার্কিন যুদ্ধবিমান। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) নিজেই জানান, শনিবার উত্তর-পশ্চিম কানাডায় এক রহস্যজনক বস্তু উড়তে দেখা যায়। মার্কিন সেনা সেই রহস্যজনক বস্তুকে ধ্বংস করেছে। তবে কোথা থেকে এসেছিল এই রহস্যজনক বস্তু, তা এখনও জানা যায়নি। এর আগে শুক্রবারই আলাস্কাতেও এমন রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তুর দেখা মিলেছিল। তাও ধ্বংস করে মার্কিন সেনা। গত সপ্তাহে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে চিনা স্পাই বেলুনের দেখা মেলা এবং তা মিসাইল ছুড়ে নামানোর পর থেকেই চাপান-উতোর শুরু হয়েছে চিন ও আমেরিকার মধ্যে। এবার আলাস্কা ও কানাডাতেও দেখা মেলা এই রহস্যজনক উড়ন্ত বস্তুগুলি চিনেরই পাঠানো কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
শনিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইট করে লেখেন, “অজ্ঞাত একটি উড়ন্ত বস্তু কানাডিয়ান এয়ারস্পেস লঙ্ঘন করে কানাডার আকাশপথে প্রবেশ করেছিল, আমি সেই বস্তুটিকে নামানোর নির্দেশ দিই। নোরাড কম্যান্ড ইয়ুকনে ওই বস্তুকে মিসাইল ছুড়ে নামিয়েছে। কানাডিয়ান ও মার্কিন যুদ্ধবিমান তন্ন তন্ন করে ওই উড়ন্ত বস্তুকে খুঁজছিল এবং মার্কিন এফ-২২ বিমান সফলভাবে ওই উড়ন্ত বস্তুকে ধ্বংস করে।”
ট্রুডো জানিয়েছেন, ওই উড়ন্ত বস্তু কী, কোথা থেকে এসেছে, তা জানার জন্য ইয়ুকনে ওই বস্তর ধ্বংসাবশেষের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাবে কানাডিয়ান সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও আকাশপথে এই অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলেই জানিয়েছেন।
মার্কিন নর্দান কম্যান্ডেরস তরফেও জানানো হয়েছে, কানাডা ও আলাস্কার সীমান্ত লাগোয়া ইসুকনে ওই রহস্যজনক বস্তুকে নামানো হয়েছে। শুক্রবার এই অঞ্চলের কাছেই আলাস্কায় একই ধরনের উড়ন্ত বস্তু দেখা গিয়েছিল এবং সেটিকেও নামানো হয়। বর্তমানে ওই উড়ন্ত বস্তুর ধ্বংসাবশেষ খোঁজার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে, তবে প্রবল ঠান্ডা, তুষারপাত ও সীমিত আলোর জন্য উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে। পেন্টাগনের তরফে এর থেকে বেশি তথ্য জানানো সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার আকাশে চিনের রহস্যজনক বেলুনের দেখা মিলতেই বিস্তর টানাপোড়েন, জলঘোলা শুরু হয়েছিল। একদিকে আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলির উপরে নজরদারির জন্য়ই স্পাই বেলুন পাঠিয়েছে চিন। অন্য়দিকে চিন দাবি করে, কোনও নজরদারি নয়, বরং আবহাওয়া ও বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ওড়ানো হয়েছিল ওই বিশালাকার বেলুন, যা হাওয়ার ধাক্কায় পথ হারিয়ে আমেরিকার আকাশসীমায় করে যায়। গত সপ্তাহেই মিসাইল ছুড়ে নামানো হয় ওই স্পাই বেলুন। চিনের দাবি, আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এই বেলুন ওড়ানো হয়েছিল, কিন্তু হাওয়ার ধাক্কায় তার গতিপথ থেকে বিচ্যুত হয়ে আমেরিকার আকাশসীমায় প্রবেশ করে। বেজিংয়ের অভিযোগ, আমেরিকা ওই বেলুন মিসাইল ছুড়ে নামিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই আমেরিকা-চিনের মধ্যে সম্পর্ক আরও জটিল হচ্ছে।