Sri Lanka Crisis: সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত শ্রীলঙ্কার সব রাজনৈতিক দল

Sri Lanka Crisis: প্রসঙ্গত, শনিবার দেশজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ পরিস্থিতির মধ্যেই রাজাপক্ষর ইস্তফা দাবি করতে থাকেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।

Sri Lanka Crisis: সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সম্মত শ্রীলঙ্কার সব রাজনৈতিক দল
ছবি: পিটিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2022 | 12:54 PM

কলোম্বো: দেশজোড়া বিক্ষোভের মাঝে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। আগামী বুধবার ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইস্তফা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। ইতিমধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ভবন বিক্ষোভকারীদের দখলে চলে গিয়েছে। এই চরম অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই রবিরার শ্রীলঙ্কার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার তৈরিতে সম্মত হয়েছে, সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। রাজাপক্ষের ইস্তফার পর দেশের আর্থিক সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আলোচনা চালিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। “সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বল্প সময়ের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণে অন্তবর্তী সরকার তৈরির বিষয়ে সম্মত হয়েছি। এই সরকারে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকবে।” দেশের ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কা পডুজানা পেরামুনা পার্টির বিদ্রোহী নেতা বিমল ওয়েরাওয়ানসা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছে। এসএলপিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অন্য আরেক নেতা বাসুদেব নানায়ক্কার মনে করেন, ১৩ জুলাই রাজাপক্ষের ইস্তফা অবধি অপেক্ষা করার কোনও প্রয়োজনই নেই, তার আগেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত।

প্রসঙ্গত, শনিবার দেশজুড়ে নতুন করে বিক্ষোভ পরিস্থিতির মধ্যেই রাজাপক্ষের ইস্তফা দাবি করতে থাকেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। সংসদের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনাকে রাজাপক্ষে জানিয়ে দিয়েছিলেন বুধবার রাষ্ট্রপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেবেন। প্রধান বিরোধী দল সমাগী জন বলাওয়েগায়ার নেতা রঞ্জিক মাদুম্মা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। “নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার তৈরির বিষয়ে সম্মত হয়েছি। এর পর সংসদীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী দেশে নির্বাচন হবে।”

অন্যদিকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা রবিবারও রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘের সরকারি বাড়িগুলির দখল নিয়েছেন। রনিলের ব্যক্তিগত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দেশের আর্থিক সংকট নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দ্বীপরাষ্ট্র। কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন গোতাবায়ার দাদা মাহিন্দা রাজাপক্ষে। সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গোতাবায়া এখন কোথায় আছেন সেই নিয়েও কিছু জানা যায়নি।