Himalayan Glacier: হিমালয়ের হিমবাহে লুকিয়ে মহাবিপদ, একবার ছড়িয়ে পড়লেই গেল!

সারা বিশ্ব জুড়ে দ্রুত গলছে হিমবাহগুলি। হিমালয়ের কোলেও রয়েছে এই রকম বহু হিমবাহ। আর সেই হিমবাহে জমে থাকা বরফেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর বিপদ। একটি বিশেষ মেশিন ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা বরফের মধ্যে ৩০০ মিটারেরও বেশি ১০ সেমি চওড়া কোর ড্রিল করেছেন। আর তে থেকেই বেরিয়ে এসেছে বিপুল পরিমাণ ঐতিহাসিক তথ্য।

Himalayan Glacier: হিমালয়ের হিমবাহে লুকিয়ে মহাবিপদ, একবার ছড়িয়ে পড়লেই গেল!
হিমবাহে লুকিয়ে বড় বিপদImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Sep 03, 2024 | 12:10 AM

ওহায়ো: সারা বিশ্ব জুড়ে দ্রুত গলছে হিমবাহগুলি। হিমালয়ের কোলেও রয়েছে এই রকম বহু হিমবাহ। আর সেই হিমবাহে জমে থাকা বরফেই লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর বিপদ, হাজার হাজার প্রাচীন ‘জম্বি’ ভাইরাস! কয়েকটি প্রায় ৪১,০০০ বছরের পুরনো। উত্তর-পশ্চিম তিব্বত মালভূমিতে গুলিয়া হিমবাহ থেকে বরফের কোর সংগ্রহ করেছিল চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ জন গবেষকের একটি দল। এই বরফের নমুনাগুলি থেকে ১,৭০০টিরও ভাইরাল জিনোম পাওয়া গিয়েছে। যেগুলির অধিকাংশ সম্পর্কেই বিজ্ঞানীদের এর আগে কিছুই জানা ছিল না।

‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,০০০ মিটার উপরে অবস্থিত হিমবাহটিতে যুগে যুগে এই ভাইরাসগুলি সংরক্ষিত হয়েছে। অন্তত নয়টি ভিন্ন ভিন্ন প্রাচীন যুগ থেকে এসেছে এই ভাইরাসগুলি। একটি বিশেষ মেশিন ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা বরফের মধ্যে ৩০০ মিটারেরও বেশি ১০ সেমি চওড়া কোর ড্রিল করেছেন। আর তে থেকেই বেরিয়ে এসেছে বিপুল পরিমাণ ঐতিহাসিক তথ্য।

বিশেষ মেশিন ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা বরফের মধ্যে ৩০০ মিটারেরও বেশি ১০ সেমি চওড়া কোর ড্রিল করেছেন

ওহায়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট, ম্যাথিউ সালিভান জানিয়েছেন, আধুনিক ভাইরাসগুলিকে যাতে এই প্রাচীন নমুনাগুলিকে দূষিত না করতে পারে, তার জন্য তারা বিশেষ সতর্কতা নিয়েছিলেন। তাদের গবেষণা থেকে বিভিন্ন জলবায়ু পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় ভাইরাল সম্প্রদায়গুলির কীভাবে পরিবর্তন ঘটেছে তাও পর্যবেক্ষণ করার অনন্য সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জলবায়ুর যে পরিবর্তন ঘটছে, এই ভাইরাসগুলির অভিযোজন স্টাডি করে সেই সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন তাঁরা।

গবেষকরা জানিয়েছেন, হিমবাহ গলে যদি এই ভাইরাসগুলি বর্তমান পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে এবং বিশ্বব্যাপী করোনার মতো মহামারি সষ্টি করতে পারে। ভবিষ্যতে এগুলি যাতে এভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।