Bangladesh: ‘আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়’, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বললেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
Durga Puja: বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
ঢাকা : বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গা পূজা (Durga Puja) চলাকালীন হামলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister of Bangladesh) আসাদুজ্জামান খান। তাঁর দাবি, বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, তা নষ্ট করতেই এই কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘মন্দিরে হামলার ঘটনা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং কারও ইন্ধনে রয়েছে এই ঘটনার পিছনে।’ সব তথ্য পেলেই আসল কারণ সামনে আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে বাংলাদেশ সরকার।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘অনেক কিছুই দেখেছি, অনেক কিছু অনুমানও করছি। এখন শুধু আমরা প্রমাণের অপেক্ষায় আছি। আমরা প্রমাণ পেলেই আপনাদের সামনে তা তুলে ধরব।’ চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে এবং নোয়াখালিতে যারা নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হাজিগঞ্জের পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে চারজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য, আমাদের একটা সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি আগেই বলেছি, আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়।’
এ দিকে, কুমিল্লার ঘটনার পর আরও সজাগ হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যারা এই তাণ্ডব চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সেই মতো কাজও শুরু করে দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই এখনও পর্যন্ত চার হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কুমিল্লার দুর্গামণ্ডপে তাণ্ডবের পর সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। বাদ যায়নি রাজধানী ঢাকাও। সেখানেও বাংলাদেশের আধা সেনার সঙ্গে রীতিমতো খণ্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের নাম রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে, আবার অজ্ঞাতপরিচয় অনেকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে তালিকায়। বাংলাদেশ প্রশাসনের আধিকারিক সূত্রে খবর, রাজধানীর পল্টন, রামনা এবং চকবাজার – এই তিন থানা এলাকা থেকেই মূলত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাণ্ডব চালানো, আধা সেনার উপর চড়াও হওয়া এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।
আগেই কুমিল্লার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে সম্প্রীতির ইতিহাসের কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা আছে যে এদেশের মানুষ সবসময় প্রতিটি উৎসব সামিল হয়ে একসঙ্গে সেই আনন্দ উপভোগ করে। মাঝে মাঝে কিছু দুষ্ট চক্র এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে এই চেতনাকে নষ্ট করতে চায়। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন : Naushad Siddique: ‘দোষীদের কড়া শাস্তি দিন’, শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি