Naushad Siddique: ‘দোষীদের কড়া শাস্তি দিন’, শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি

Bangladesh: বাংলাদেশ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে, ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

Naushad Siddique: 'দোষীদের কড়া শাস্তি দিন', শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি
বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায়ের আর্জি জানিয়ে এবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2021 | 4:59 PM

কলকাতা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায়ের আর্জি জানিয়ে এবার সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। নওশাদ লিখেছেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য যারা দায়ী তাদের কঠোর হাতে দমন দরকার। হাসিনা-সরকার যেন সেই পদক্ষেপই করে।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি শেখ হাসিনাকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘উৎসবের মরসুমে বাংলাদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তা কখনওই অভিপ্রেত নয়। হিংসা, মারামারি, পুজো মণ্ডপে হিংসাকে কেন্দ্র করে যে ধরনের অশান্তি বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে এগুলি আটকানো দরকার। মানুষের প্রাণ সংশয় হচ্ছে। আমরা আশা করছি, আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করে সকলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। দক্ষিণ এশিয়ায় একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, সামাজিক ও ধর্মীয় সংহতি থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ধর্ম নিয়ে নিজেদের মতো ভাবনাচিন্তা পোষণ করা অনেক সময় আতঙ্কের কারণ হয়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠে। এই কালপ্রিটদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধরে এনে শাস্তি দেওয়া দরকার।’

একই সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও নওশাদ সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, ‘দু’তরফেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হোক আইএসএফ তেমনটাই চায়। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে শান্তি, অগ্রগতি ও সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারে। সকলে যেন বৈদেশিক রীতিনীতিকেও যেন সর্বক্ষেত্রেই মান্যতা দেওয়া হয়। তাই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যা চলছে, আপনার সরকার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেই আশা রাখছি।’

গত বুধবার থেকেই বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতে থাকে, কুমিল্লার একটি মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়ায় কুমিল্লার এই মণ্ডপে সংখ্যাগুরুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। যার জেরে চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, কক্সবাজারের পেকুয়ায় পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর চলে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হতে থাকে বাংলাদেশ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শেখ হাসিনা স্পষ্ট জানান, “বাংলাদেশ এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। বাংলাদেশে সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে।” তিনি প্রত্যেক বাংলাদেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন, “ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা আছে যে এদেশের মানুষ সবসময় প্রতিটি উৎসব সামিল হয়ে একসঙ্গে সেই আনন্দ উপভোগ করে। মাঝে মাঝে কিছু দুষ্ট চক্র এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে এই চেতনাকে নষ্ট করতে চায়। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথাও তুলে ধরেন। মুজিবর রহমান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান… যাঁরা যাঁরা এ দেশে বসবাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এদেশের নাগরিক। প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরা সম অধিকার ভোগ করবেন।’

একইসঙ্গে বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা সবসময় নিজেদের সংখ্যালঘু মনে করেন কেন? আপনারা প্রত্যেকে এই দেশেরই নাগরিক। এই মাটিতে আপনার জন্ম। কাজেই এই মাটিতে যাঁদের জন্ম, আপনারা এই মাটিরই সন্তান। আপনারা সবাই নিজের অধিকারে বসবাস করেন।”

আরও পড়ুন: RG Kar: এক ঘণ্টার বৈঠকেও স্পষ্ট হল না হবু চিকিৎসকরা কী চান, ওদিকে পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কাতরাচ্ছে