RG Kar: এক ঘণ্টার বৈঠকেও স্পষ্ট হল না হবু চিকিৎসকরা কী চান, ওদিকে পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কাতরাচ্ছে

Student Protest: এদিন মোহিত মঞ্চের বৈঠকে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অতীন ঘোষ, উত্তর কলকাতার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা আরজি কর রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস রায়, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়, সাংসদ শান্তনু সেন ও চিকিৎসক-নেতা নির্মল মাজি।

RG Kar: এক ঘণ্টার বৈঠকেও স্পষ্ট হল না হবু চিকিৎসকরা কী চান, ওদিকে পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কাতরাচ্ছে
চরম দুর্ভোগে রোগীরা। অভিযোগ, একের পর এক মুমূর্ষুকে 'কর্মবিরতি' বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে আরজি কর হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2021 | 5:58 PM

কলকাতা: চরম দুর্ভোগে রোগীরা। অভিযোগ, একের পর এক মুমূর্ষুকে ‘কর্মবিরতি’ বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Medical College)। গত কয়েকদিন ধরেই এমন অভিযোগ উঠছে রাজ্যের প্রথম সারির এই মেডিক্যাল কলেজে। কারণ, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে অনশনে বসেছেন হবু চিকিৎসকরা। হাউজস্টাফ ইন্টার্নদের একাংশের এই আন্দোলনে নাকাল পরিষেবা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবারই মোহিত মঞ্চে অনশনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান-সহ সরকারের প্রতিনিধি ও আরজি করের মেন্টর কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, এই আলোচনার পর তাঁরা আশাবাদী। তবে অনশন তুলবেন কি না তা বাকি অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত জানানো হবে।

এদিন মোহিত মঞ্চের বৈঠকে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অতীন ঘোষ, উত্তর কলকাতার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা আরজি কর রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস রায়, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়, সাংসদ শান্তনু সেন ও চিকিৎসক-নেতা নির্মল মাজি। ছিলেন আরজি করের মেন্টর কমিটির সদস্যরা। ঘণ্টাখানেক ধরে এই বৈঠক চলে। সেখানে মেন্টর গ্রুপ ও সরকারের প্রতিনিধিরা অনশনকারীদের আবেদন করেন, এক মাস সময় দেওয়া হোক কর্তৃপক্ষকে। এর মধ্যে অধ্যক্ষের আচরণ না বদলালে, আরও সমস্যা হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁদের বক্তব্য, একটা আন্দোলনের জেরে যদি একজন অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয় তা হলে তা ভুল বার্তা দেয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, “আমরা দাবিতে অনড় রয়েছি। পরবর্তীকালে অনশনরতদের সঙ্গে কথা বলব। স্যারেরাও যাবেন বলেছেন। ওনাদের বক্তব্য যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক আমাদের কাছে। কলেজের স্যারেরাও ছিলেন এখানে। সরকারি আধিকারিকরাও রয়েছেন। আমরা সরকারের বিপক্ষে একেবারেই নই। আমরা রোগীদের কাছে ফিরতে চাই। কিন্তু অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের উপস্থিতিতে তা সম্ভব নয়।”

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়ের বক্তব্য, “একজন অধ্যক্ষের পদত্যাগ কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়টি দেখব, সেই আশ্বাস দিচ্ছি। দেখা যাক ওরা কী করে।”

যদিও এই আন্দোলন মেটার ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদী নন অতীন ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, “ওরা আলোচনার সময় একরকম কথা বলে। ফিরে গিয়ে অন্যরকম হয়ে যায়। রোগী পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এটাই সবথেকে খারাপ বিষয়। ‌সারা কলকাতায় রটে গিয়েছে আরজিকরে রোগী ভর্তি হচ্ছে না। উত্তর ২৪ পরগনা-সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আরজিকরের উপরে নির্ভরশীল। এখন ঘটি-বাটি বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন।” অন্যদিকে শান্তনু সেনের দাবি, “এক মাসের সময় চেয়েছি। না দিলে বুঝতে হবে এটা সরকার বিরোধী আন্দোলন।”

তবে হবু চিকিৎসকদের এই আন্দোলন সরকার বিরোধী নাকি আন্দোলনকারীদের অনড় মনোভাবের ফসল তা যাচাই নিয়ে মাথাব্যাথা নেই সাধরাণ মানুষের। হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়াটা একজন নাগরিকের অধিকারের মধ্যে পড়ে। কোনও কারণেই বা কারও স্বার্থেই তা বিঘ্নিত হতে পারে না বলে মনে করছেন রোগীর আত্মীয়রা। বৈঠকে সরকারি প্রতিনিধিরা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন আরজি করের সিসিইউ, এসএনসিইউ, সার্জারি, নিওনেটাল বিভাগে পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া যাচ্ছে না। ১৩ দিন ধরে এই পরিস্থিতি। তা দ্রুততার সঙ্গে ফেরাতে হবে।