Bangladesh Quota Andolon: ‘কোমলমতি’ শিক্ষার্থীদের পাশে হাসিনা, দিলেন ‘এই’ আশ্বাস
Bangladesh Quota Andolon: কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। মঙ্গলবারই প্রাণ গিয়েছে ৬ আন্দোলনরত ছাত্রর। এরই মধ্যে বুধবার (১৭ জুলাই), স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কী বললেন তিনি
ঢাকা: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে চলছে রক্তাক্ত আন্দোলন। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিতে মঙ্গলবারই প্রাণ গিয়েছে ৬ আন্দোলনরত ছাত্রর প্রাণ গিয়েছে। বুধবার থেকে বন্ধ করে দিতে হয়েছে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দিলেন ন্যায়বিচারের আশ্বাস। হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশ জুড়ে যে সংকট চলছে, তার আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে ছাত্রসমাজ। আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না। কোটা নিয়ে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শেখ হাসিনা।
বুধবার, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন, গণভবন থেকেই এই ভাষণ দেন তিনি। সাড়ে সাত মিনিটের এই ভাষণে বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে। তার ভিত্তিতে শুনানির দিনও ধার্য করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে আদালত। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে ‘দুষ্কৃতী’দের সংঘাতের সুযোগ করে দেবে না বাংলাদেশ সরকার। এই কথাও সাফ জানিয়েছেন হাসিনা। তনি বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
আন্দোলন চলাকালীন দেশজুড়ে হতাহতের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারবর্গকে সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। হাসিনা বলেন, “কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার ধৈর্যের সঙ্গে বিষয়টি মোকবিলা করছে। কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের, তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে।”