AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শিক্ষায় করোনার কামড়, বাংলাদেশে ফের মাদ্রাসা বন্ধ করার নির্দেশ

করোনা রুখতে গত ১৭ মার্চ থেকে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ অনুরোধে সে দেশে কয়েকটি মাদ্রাসা চালুর অনুমোদন দিয়েছিল হাসিনা সরকার।

শিক্ষায় করোনার কামড়, বাংলাদেশে ফের মাদ্রাসা বন্ধ করার নির্দেশ
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2021 | 8:43 PM
Share

ঢাকা: বাংলাদেশেও (Bangladesh) বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া ৫ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। বেড়েছে মৃত্যুও। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সে দেশে এখন মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। করোনায় মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ। এই বাড়তি করোনা সংক্রমণের মুখে বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে একটি নির্দেশিকায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ প্রাক প্রাইমারি থেকে প্রাথমিক মাদ্রাসা, মাধ্য়মিক, উচ্চমাধ্যমিক, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে।

করোনা রুখতে গত ১৭ মার্চ থেকে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলাদেশে বন্ধ রয়েছে। তবে বিশেষ অনুরোধে সে দেশে কয়েকটি মাদ্রাসা চালুর অনুমোদন দিয়েছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু বিভিন্ন দেশে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসিনার কার্যালয়। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশে করোনার বাংলা মিউটেশন ধরা পড়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, একাধিক রূপে করাল থাবা বসাচ্ছে করোনাভাইরাস। সে দেশে মোট ৩৪ ধরনের করোনার অভিযোজিত রূপ ধরা পড়েছিল। যা চিন্তা বাড়িয়েছিল চিকিৎসকদের মধ্যে। বাংলাদেশের ৩৪ রকমের রূপকে গবেষকরা বলছিলেন, “বাংলা মিউটেশন।”

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক আদনান মান্নান সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, যে ৩৪ ধরনের ইউনিক মিউটেশন পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেই স্ট্রেনে আক্রান্তদের মধ্যে কোনও অন্য উপসর্গ ধরা পড়ছে কি না, সে বিষয়েও নজর রাখতে হবে। বাংলাদেশে এখন ভারতের দেওয়া অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের টিকাকরণ হচ্ছে, এই স্ট্রেনের ফলে সেই কর্মসূচিতে কোনও পরিবর্তন আনার দরকার আছে কি না সে বিষয়েও খতিয়ে দেখতে হবে।

আরও পড়ুন: রক্তনদী মায়ানমারে, জমকালো পার্টিতে মেতেছেন সেনা প্রধান