রক্তনদী মায়ানমারে, জমকালো পার্টিতে মেতেছেন সেনা প্রধান
১ ফেব্রুয়ারি থেকে বারবার নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা।
ইয়াঙ্গন: মায়ানমারের (Myanmar) নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি আটক হওয়ার পর থেকেই উত্তাল গোটা দেশ। সে দেশে একের পর এক প্রাণ শেষ হয়ে যাচ্ছে সেনা পুলিশের হাতে। গত শনিবার সবচেয়ে বেশি রক্ত দেখেছিল মায়ানমার। সেনা পুলিশের হাতে স্রেফ একদিনেই প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১৪ জন। কিন্তু এতকিছুর পরেও সে দেশের গণতন্ত্র ফেরাতে বা সু কি-কে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট কথা জানাননি সেনা প্রধান মিন। উল্টে শনিবার তাঁকে দেখা গেল জমকালো পার্টিতে। সেখানে অন্যান্য সেনাকর্তাদের সঙ্গে আনন্দে মেতেছিলেন মিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা নেটদুনিয়া।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে বারবার নোবেলজয়ী নেত্রী সু কি-র মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীরা। কখনও কাঁদানে গ্যাস কখনও বা বুলেট, বারবার আন্দোলন দমাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে সেনা। শনিবারই সে দেশের একাধিক শহরে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের ওপর গুলি চালিয়েছিল সেনা। যার দরুন প্রাণ হারিয়েছিলেন শতাধিক আন্দোলনকারী। সে দিনই ছিল মায়ানমার সেনার সশস্ত্র বাহিনী দিবস। যা সমারোহে পালিত হয়েছিল সেনা প্রধান মিনের উপস্থিতিতেই। তার তীব্র নিন্দা করে জান্তা বাহিনী বিরোধী গোষ্ঠীর মুখপাত্র ডঃ সাসা বলেছিলেন, “সেনাবাহিনীর কাছে আজ লজ্জার দিন। যেখানে ৩০০-রও বেশি নিরীহ মানুষকে খুন করা হয়েছে, সেখানে মিলিটারি জেনারেল সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করছেন।”
আর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত মায়ানমারের সরকারি টিভির ছবিতে দেখা গিয়েছে, গলায় টাই বেঁধে মুখে হাসি নিয়ে নৈশভোজে বসেছেন মিন। আর সেই ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সে দেশের সমাজ সচেতনরা। গত শনিবার জাপানের দখলদারির বিরুদ্ধে মায়ানমারের জয় পালন করতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে। বিলাশবহুল পার্টিতে ছিলেন জান্তা সেনার একাধিক উর্ধ্বতন আধিকারিক।
সু কি আটক হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে গত শনিবার। যার তীব্র নিন্দা করেছে গোটা বিশ্ব। জো বাইডেন থেকে শুরু করে জাপান, অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানরা সমালোচনা করেছিলেন জান্তার এই সশস্ত্র অত্যাচারের।
আরও পড়ুন: ল্যাব থেকে ছড়ায়নি করোনা, আসল কারণ খোলসা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা