Bangaldesh News: হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এই বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব নয়, জানালেন হাসান মাহমুদ
Bangladesh: সাংবাদিকদের সামনে আমেরিকাকেও কটাক্ষ করেন তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কর্মীরা আমেরিকার গুয়ান্তানামো বে কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কারাগারটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা: বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পেশ করা রিপোর্টকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী তথা শাসক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ। তিনি জানিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং একতরফা। বাংলাদেশ থেকে শাসক-বিরোধী কেউ এই রিপোর্টের খসরা তৈরি করে দিয়েছে এবং সংস্থাটি শুধুমাত্র ছেপে রিপোর্টটি প্রকাশিত করেছে, অভিযোগ মাহমুদের।
শুক্রবার নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। সেখানে হাসান মাহমুদ বলেন, এই ধরনের সংগঠন থাকা অবশ্যই ভালো কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন কার্যকলাপ এই ধরনের সংগঠন এর বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে। বাংলাদেশ নিয়ে সাম্প্রতিক রিপোর্ট সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। রিপোর্টের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন বিষয়ে উত্থাপিত করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয় রিপোর্টে। আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্টে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে এই ধরনের মন্তব্য স্বভাবতই ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, “হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি আমি দেখেছি। এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি মোটেও সহমত না। হাতেগোনা কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে ওদের কোনো ধারনাই নেই।”
সাংবাদিকদের সামনে আমেরিকাকেও কটাক্ষ করেন তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কর্মীরা আমেরিকার গুয়ান্তানামো বে কারাগারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কারাগারটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মাহমুদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন গুয়ান্তানামো বে কারাগার অপকর্মের জন্য কুখ্যাত। কুড়ি বছর ধরে বিনা বিচারে বন্দীদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সদস্যরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমেরিকাতে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এদিকে আমেরিকা সারা বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হয়।