China COVID Restriction Video: একজনেরও রিপোর্ট পজেটিভ এলেই আর রক্ষে নেই, সপ্তাহভর বন্দি থাকতে হবে বাক্সে! শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য চিনে

China COVID Restriction Video: চিনের জিরো কোভিড নীতি অনুযায়ী, একজনও করোনা আক্রান্ত হলে, গোটা শহরেরই বাসিন্দাদের যেমন করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তেমনই আবার একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এলেই, বাকি এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা হচ্ছে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো থেকে আটকাতে।  

China COVID Restriction Video: একজনেরও রিপোর্ট পজেটিভ এলেই আর রক্ষে নেই, সপ্তাহভর বন্দি থাকতে হবে বাক্সে! শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য চিনে
এভাবেই সাধারণ মানুষকে "বন্দি" করে রাখা হচ্ছে চিনে। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2022 | 3:12 PM

বেজিং: করোনা সংক্রমণ (COVID-19) বাড়তেই ফের একবার লকডাউন(Lockdon)-এর পথে হেঁটেছে চিন (China)। নিয়মের কড়াকড়ি আগেও ছিল, কিন্তু সংক্রমণ রুখতে এবার আরও ভয়ঙ্কর চিত্র ধরা পড়ল সে দেশে। যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে, তাদের বাড়ির প্রবেশ পথ আটকে দেওয়া, গোটা এলাকায় একজনের রিপোর্টও পজেটিভ এলে, সকলকে ধাতব বাক্সে কমপক্ষে ৭দিন বন্দি করে রাখার মতোই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়েছে চিনে।

সিনেমার কোনও দৃশ্যের থেকে কম নয় চিনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ির চিত্র। অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলির সামনে বাসের লম্বা লাইন, ভিতরে জবুথবু হয়ে বসে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।  চিনের জিরো কোভিড নীতি অনুযায়ী, একজনও করোনা আক্রান্ত হলে, গোটা শহরেরই বাসিন্দাদের যেমন করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে, তেমনই আবার একজনের রিপোর্ট পজেটিভ এলেই, বাকি এলাকার সমস্ত বাসিন্দাদের ধাতব বাক্সে বন্দি করে রাখা হচ্ছে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানো থেকে আটকাতে।

অলিম্পিকের কারণেই কী এত কড়াকড়ি?

আগামী মাসেই বেজিংয়ে রয়েছে উইন্টার অলিম্পিকস। কিন্তু বিশ্বজুড়েই যে হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার জেরে অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেকের মতে, অলিম্পিকের আগে দেশে যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, তার জন্যই এই কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতি চালু করেছে চিন, যেখানে লক্ষাধিক মানুষকে কার্যত বাক্সবন্দি করে রাখা হচ্ছে।

বাক্সবন্দি জীবন:

করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেই বাড়ির দরজা আটকে দেওয়া বা গোটা বিল্ডিং সিল করে দেওয়ার মতো ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করা হয় চিনে। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেই, তাদের আইসোলেশনের বাহানায় বন্দি করে রাখা হচ্ছে ছোট্ট বাক্সে। সেই ধাতব বাক্সে একটি কাঠের বিছানা ও শৌচাগারই রয়েছে, একজনের বেশি থাকার জো নেই সেখানে। এলাকায় একজনেরও করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এলেই, দমবন্ধকর ছোট্ট বাক্সেই এক থেকে দুই সপ্তাহ বন্দি থাকতে হচ্ছে সকলকে।  ছাড় পাচ্ছেন না গর্ভবতী মহিলা, শিশু ও বয়স্করাও, এমনটাই দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি মেল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতা:

যে সমস্ত শহরে বা এলাকায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেখানের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাঝরাতে হঠাৎ করেই হাজির হচ্ছে সরকারি কর্মীরা। তারা এসে বাসিন্দাদের নিজেদের বাড়ি ছেড়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। কেউ রাজি না হলে, তাদের জোর করেই তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনেকে এই ভয়েই রাত-বিরেতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে শহর বা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চিনে বর্তমানে ২ কোটিরও বেশি মানুষ গৃহবন্ধি রয়েছেন। তাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, যেমন খাবার কেনার জন্যও বাড়ি থেকে বেরোনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোমবার চিনের হেনান প্রদেশে আনিয়াং-এ লকডাউন জারি করা হয়েছে। এছাড়া তিয়ানজিং, জিয়ং ও ইউঝাউতেও আগেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল।