Who recommends medicine: করোনা রোগীর চিকিৎসায় দুটি নতুন ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
WHO": সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল সামনেই বসন্তকাল আসছে। এই সময়ে করোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
নয়া দিল্লি: দেশের পাশাপাশি সারা বিশ্বে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি চোখ রাঙাচ্ছে করোনা নয়া ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান নিয়ে যখন সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে সেই সময় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দুটি নতুন ওষুধ ব্যবহারের সুপারিশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এখন থেকে গুরুতর বা সংকটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত বারিসিটিনিব (Baricitinib) ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল বা কম সংক্রমিত করোনা রোগীর ক্ষেত্রে সোট্রোভিমাব (Sotrovimab) ব্যবহার করা যাবে। নির্দেশিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যেসব করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করার সম্ভাবনা বেশি তাদের ক্ষেত্রে সোট্রোভিমাব ব্যবহার করা যাবে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল সামনেই বসন্তকাল আসছে। এই সময়ে করোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্বাস প্রশ্বাস জনিত রোগের প্রকোপ বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই ঘোষণার পরই নতুন দুটি ওষুধের সুপারিশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এই সাংবাদিক বৈঠকে আগেই জানিয়েছিলেন, জন মিশ্রনের কারণে বসন্তের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার মত রোগও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস বলেছিলেন, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমক হলেও বিভিন্ন দেশে এই ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই সারা বিশ্বে মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। হু প্রধান গেব্রেইসাস জানিয়েছিলেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের হার ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওমিক্রন সকল দেশেই দ্রুত ডেল্টাকে প্রতিস্থাপিত করছে।” করোনা টিকাকরণ নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সারা বিশ্বে এখনও অনেক মানুষ টিকা নেননি। তাই ভাইরাসকে খোলাখুলিভাবে ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি জানিয়েছিলেন আফ্রিকাতেই এখনও ৮৫ শতাংশ মানুষের করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া বাকি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানা গিয়েছিল করোনা সংক্রমণের কারণে যেসব রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে তাদের বেশিরভাগেরই করোনা টিকাকরণ সম্পন্ন হয়নি।
আরও পড়ুন Omicron Variant: হু হু করে নীচের দিকে নামবে ওমিক্রনের গ্রাফ, পরিস্থিতি দেখে বলছেন বিশেষজ্ঞরা