Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh News: গাঁজায় তৈরি মিল্কশেক, চকোলেট কেক তৈরি করে দেদার বিক্রি, শহরে রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা

Bangladesh News: পুলিশ জানিয়েছে, জুবায়েরকে গ্রেফতার করে তাঁর থেকে উত্তরার ১২ নম্বরের একটি বাড়ির হদিশ পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে অনুভব খান রিবু এবং নাফিসা নাজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Bangladesh News: গাঁজায় তৈরি মিল্কশেক, চকোলেট কেক তৈরি করে দেদার বিক্রি, শহরে রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা
ছবি: সংগৃহীত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 30, 2022 | 6:27 PM

ঢাকা: আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই থাকে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা প্রতিনিয়ত গাঁজার নেশা করে। গাঁজার ব্যবহার কমাতে মাঝেমধ্যেই মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পুলিশ। কিন্তু অভিনব কায়দায় গাঁজা বিক্রির কৌশলের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। বাংলাদেশের (Bangladesh News) রাজধানী ঢাকার (Dhaka) উত্তরায় গাঁজা (Marijuana) দিয়ে বানানো হত মিল্কশেক, চকোলেট ও কেক। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করত এই চক্র, এরপর গ্রাহকের থেকে কোনও অর্ডার এলেই তা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হত। মূল মাথা সহ গোটা চক্রটিকেই গ্রেফতার করেছে গুলশন থানার পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে মাদক দিয়ে তৈরি এই বিশেষ পণ্য গুলি সরবরাহের সময় জুবায়ের হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Bangladesh Police)।

পুলিশ জানিয়েছে, জুবায়েরকে গ্রেফতার করে তাঁর থেকে উত্তরার ১২ নম্বরের একটি বাড়ির হদিশ পায় পুলিশ। সেখানে অভিযান চালিয়ে অনুভব খান রিবু এবং নাফিসা নাজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা গুলশন থানার এসআই মিরাজ আকন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “বিগত ৫-৬ মাস ধরে এই চক্রটি ওই বাড়ি থেকে গাঁজা দিয়ে তৈরি মিল্কশেক, চকলেট ও কেক বানিয়ে বিক্রি করছিল। এছাড়া গাঁজা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন জুস তৈরি করে তা বিক্রি করা হচ্ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে ওই বাড়ি থেকে গাঁজা দিয়ে তৈরি পণ্য ছাড়াও একটি ল্যাপটপ ও ২ টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে মারাত্মক তথ্য জানা গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ইউটিউব থেকে ভিডিয়ো দেখে গাঁজা দিয়ে কেক, চকলেট, মিল্কসেক তৈরি করা শিখেছিল অভিযুক্তরা। সেই মতো নিয়মিত গাঁজায় তৈরি পণ্য তৈরি করে দেদার বিক্রি করা হত। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং ঘটনার পিছনে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।