বাইডেনের আশঙ্কাই সত্যি! কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে রকেট হামলা, বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ২

জন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বাইডেনের আশঙ্কাই সত্যি! কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে রকেট হামলা, বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ২
রকেট হামলার পর ধোঁয়া বের হচ্ছে। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2021 | 7:13 PM

কাবুল: বাইডেনের আশঙ্কাই সত্যি হল। ফের হামলা কাবুল বিমানবন্দরে। স্থানীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরেই ফের বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এ বার আত্মঘাতী বোমা নয়, বরং রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া অবধি কমপক্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাবুলের খাওজা বুঘরা জেলার গুলাই অঞ্চলে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। জন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়েছে।

শনিবারই ফের কাবুলে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, “কাবুলে পরিস্থিতি এখনও খুবই ভয়ঙ্কর। জঙ্গি হামলার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের কমান্ডাররা জানিয়েছেন যে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফের হামলা হতে পারে।” সেই আশঙ্কাই সত্যি করে এ দিন বিকেলেই হামলা চালানো হল ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। এখনও হতাহতের নিশ্চিত খবর না মিললেও, স্থানীয় সূত্রে খবর, জনবসতিতে হামলা হওয়ায় কমপক্ষে ১৫০ জনের আহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হামলার দায় স্বীকারও করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাবুল বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করেই রকেট হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু রকেটটি খুব বেশি শক্তিশালী না হওয়ায় তা বিমানবন্দর থেকে এক কিলোমিটার দূরেই খাওজা বুঘরা অঞ্চলে রকেটটি গিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, একটি বাড়ির ছাদে রকেটটি পড়েছে। আশেপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই কাবুলের হামিদ কারজ়াই বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট বাদেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে। এরপরে গুলি চালানোর খবরও মেলে। আত্মঘাতী ওই বিস্ফোরণে প্রায় ২০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির। ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে সংগঠন।

ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরে হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সকলকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয় না পেয়ে উদ্ধারকার্য জারি রাখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

বাইডেন যে বদলা নেওয়ার কথা বলেছিলেন, তা শুক্রবারই পূরণ করেছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেট-খোরাসান-র উপর হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন। সেই হামলায়  দুই আইসিস শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন,  “আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে ড্রোনের মাধ্যমে এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে যাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল, তাদের খতম করা গিয়েছে। তবে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হয়নি।”

এ দিকে, ৩১ অগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের সরানোর কাজ শেষ করতে হবে। বাইডেন ডেডলাইন বাড়ানোর কথা বললেও পরে জানিয়েছেন ওই সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে উদ্ধারকাজ। আরও পড়ুন: ‘রেডিয়ো-টিভিতে শোনা যাবে না মহিলা কণ্ঠস্বর’, তালিবানি রাজে আদৌই থাকবে মহিলাদের অস্তিত্ব?