AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CIA-র চরবৃত্তির হাতিয়ার Compact Makeup? দেখতে সাদামাটা, কিন্তু কাজ জানলে চমকে উঠবেন!

ঠাণ্ডা যুদ্ধের আমল থেকেই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA এমন কিছু জিনিস ব্যবহার করে, যা সাধারণের নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু আসলে সেই সব জিনিস ব্যবহার করা হত জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে। প্রকাশ্যে এল এমন এক তথ্য, যা এর আগে কেউ জানত না!

CIA-র চরবৃত্তির হাতিয়ার Compact Makeup? দেখতে সাদামাটা, কিন্তু কাজ জানলে চমকে উঠবেন!
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2025 | 9:44 PM
Share

বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে সাদামাটা কোনও মেকআপের সামগ্রী বোধহয়। মাত্র দেড় সেন্টিমিটার বাই ৬ সেন্টিমিটারের কমপ্যাক্ট পাউডারের কৌটো। কিন্তু সেটাই যে বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা গোয়েন্দা সংস্থার চরবৃত্তির হাতিয়ার- এতদিন কে জানত? সম্প্রতি মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা CIA তাদের ভাঁড়ারে থাকা চূড়ান্ত গোপনীয় এক আধটা ‘অস্ত্র’ প্রকাশ্যে আনতে শুরু করেছে। সেই সূত্রেই এই কমপ্যাক্ট পাউডারের মেকআপ কিট-টিও সাধারণ মানুষের সামনে এসেছে। কিন্তু এর মাধ্যমে কী করতেন সিআইএ গোয়েন্দারা? সামান্য একটা পাউডারের কৌটো কী কাজে লাগতে পারে? এই প্রতিবেদনে আজ সেটাই জানাব।

কোল্ড ওয়ার বা ঠাণ্ডা যুদ্ধের জমানা থেকেই মার্কিন ও রুশ গোয়েন্দাদের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা চলে আসছে। সিআইএ বনাম কেজিবি-র এই লড়াই সাধারণভাবে প্রকাশ্যে দেখতে পাওয়া না গেলেও চলে চূড়ান্ত গোপনে, আড়ালে-আবডালে। দুই গোয়েন্দা সংস্থাতেই ছিল ডবল স্পাই, মানে যাঁরা দুই সংস্থার হয়েই কাজ করত। এক দেশের গোয়েন্দা শত্রু দেশে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আর সেই তথ্য সংগ্রহের কাজেই ব্যবহৃত হত নানা গোপনীয়, সাধারণের চোখে ধরা পড়ে না এমন সব জিনিসপত্র। তার মধ্যেই একটা, এই পাউডারের কৌটো। ভাবছেন একটা ছোট্ট পাউডারের কৌটো তাবড় গোয়েন্দা, স্পাই-দের কী কাজে লাগতে পারে?

COMPACT

তাহলে জানুন, এই পাউডারের কৌটোর ভিতরে রয়েছে একটি আয়না। এই পাউডারের কৌটোর ‘বেস’ বা পাউডার রাখা জায়গায় লেখা থাকত গোপন ‘কোডেড মেসেজ’। যে মেসেজ খালি চোখে দেখা যায় না বললেই চলে। সূক্ষ, প্রায় অদৃশ্য মেসেজে থাকত এমন সব গোপন তথ্য যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকমতো বেঁকিয়ে ধরলে তবেই সেই মেসেজের ছায়া গিয়ে পড়ত কৌটোর গায়েই লাগানো আয়নায়। তখন সেটা পড়া যেত। ভাবুন! এমন চমকে দেওয়া বুদ্ধি কি সাধারণের মাথায় আসতে পারে? পারে না। আর এটাই ছিল মার্কিন গোয়েন্দাদের কাজ। সকলের চোখের সামনে দিয়ে শত্রুদেশের গোপন তথ্য পাচার হয়ে যেত মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে, তাঁদের সদর দফতরে। অথচ ঘুণাক্ষরেও টের পেত না কেউ। এই ধরণের গোপনে মেসেজ আদানপ্রদানের পদ্ধতি-কে গোয়েন্দাদের ভাষায় বলা হয় clandestine methods. যার মাধ্যমে এনক্রিপ্টেড মেসেজ আদানপ্রদান করতেন সিআইএ-র গোয়েন্দারা।