পুলিশের জালে কলোম্বিয়ার ড্রাগ জগতের বেতাজ বাদশা ওটোনিয়েল

columbia, Drug gang, কলোম্বিয়াতে মাদক পাচার, অবৈধ খনন, তোলাবাজির মত গুরুতর অভিযোগ ছিল ওটোনিয়েল ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এইভাবেই গাল্ফ ক্ল্যান গ্যাং বিপুল অর্থ উপার্জন করেছিল বলেই জানা গিয়েছে।

পুলিশের জালে কলোম্বিয়ার ড্রাগ জগতের বেতাজ বাদশা ওটোনিয়েল
ছবি ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Oct 24, 2021 | 11:15 AM

কলোম্বিয়া: নেটফ্লিক্সে (Netflix) জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘নার্কোসের’ (Narcos) কাহিনী আমাদের অনেকেরই মনে আছে। বাস্তবের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখেই ড্রাগ মাফিয়া (drug mafia) পাবলো এস্কোবারের (Pablo Escobar) উত্থান ও পতনকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছিল নার্কোসের গল্প। কিভাবে এক পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে উঠে আসা তরুণ কলোম্বিয়ান আন্ডারওয়ার্ল্ডকে (Columbian Underworld) কাবু করেছিল সেই কাহিনী অনেকেরই জানা। আজকের এই ঘটনার সঙ্গে কোথাও না কোথাও নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজের একটা মিল রয়েছে।

শনিবার, কলোম্বিয়ার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ড্রাগ পাচারকারী ওটোনিয়েলকে (Otoniel) গ্রেফতার করেছে কলোম্বিয়ার পুলিশ সরকারি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এই গ্রেফতারকে বিশ্বব্যাপী কোকেন পাচারের (Cocaine Trafficking) বিরুদ্ধে অন্যতম বড় জয় হিসেবেই দেখছে সেদেশের পুলিশ প্রশাসন। গাল্ফ ক্ল্যান (Gulf Clan) নামক কলোম্বিয়ার সব থেকে বড় মাদক পাচারকারী গ্যাংয়ের মূল মাথা দাইরো অ্যান্টোনিও উসুগাকে (Dairo Antonio Usuga,) পানামা সীমান্তের (Panama Border) কাছে নেকোক্লিতে অবস্থিত তাঁর প্রধান ডেরার কাছ থেকে আটক করে পুলিশ। সরকারের তরফে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী ওটোনিয়েল হাতকড়া পড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং সেনারা তাঁকে ঘিরে আছেন।

কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডুক (president Ivan Duque) একটি বার্তায় জানিয়েছেন, “চলতি শতকে মাদাক পাচারের বিরুদ্ধে এটি আমাদের দেশের সব থেকে অভিযান। শুধুমাত্র মাদক পাচার সম্রাট পাবলো এস্কোবারের পতনের সঙ্গেই এই ঘটনার তুলনা চলে।” কুখ্যাত ওটোনিয়েলকে গ্রেফতারে সাহায্য করার বিনিময়ে ৫ লক্ষ ডলার পুরষ্কার মূল্য ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ওটোনিয়েলকে অভিযুক্ত ঘোষণা করে। আমেরিকাতে তিনি প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হন। নিউইয়র্ক ফেডারেল আদালতের (New York Federal Court) দক্ষিণ জেলাতে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিল।

কলোম্বিয়াতে মাদক পাচার, অবৈধ খনন, তোলাবাজির মত গুরুতর অভিযোগ ছিল ওটোনিয়েল ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এইভাবেই গাল্ফ ক্ল্যান গ্যাং বিপুল অর্থ উপার্জন করেছিল বলেই জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে ফার্ক গেরিলাদের (FARC guerillas) সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকেই দেশে সন্ত্রাস ও হিংসা ছড়ানোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে ওঠেন ওটোনিয়েল।

কোনঠাসা হয়ে ২০১৭ সালে ওটোনিয়েল করেছিলেন যে তিনি কলম্বিয়ার বিচার ব্যবস্থাতে অংশ নেওয়ার জন্য সরকারে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান। কিন্তু তাঁর সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সেদেশের সরকার বরং তারা ওটোনিয়েলকে ধরার জন্য ১০০০ সৈন্যদের একটি দল মোতায়েন করে। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি তাঁর সহকারীদের ক্রমেই নিকেষ করছিল পুলিশ। তাই তিনি বাধ্য হয়ে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন কঠোর লকডাউনেও আটকানো গেল না করোনা সংক্রমণ, কপালে চিন্তার ভাঁজ নিউজিল্যান্ড প্রশাসনের