England: আলমারিতে লুকিয়ে মায়ের প্রেমিক, টেনে বের করে বাবা-ছেলে মিলে…

England father-son duo kill mother’s lover to death: ওয়ারড্রোবে লুকিয়েও পার পেল না মায়ের নতুন প্রেমিক। ধরা পড়ে গেল বাবা-ছেলের জুটির কাছে। পুলিশও বাঁচাতে পারল না।

England: আলমারিতে লুকিয়ে মায়ের প্রেমিক, টেনে বের করে বাবা-ছেলে মিলে...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 8:05 AM

লন্ডন: তার বাবার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে নতুন প্রেমিকের সঙ্গে অন্য বাড়িতে উঠে গিয়েছিল মা। বাবাকে নিয়ে সেই বাড়িতে চড়াও হল যুবক। ওয়ারড্রোবে লুকিয়েও পার পেল না মায়ের সেই নতুন প্রেমিক। তাঁকে সেখান থেকে বের করে এনে, একের পর এক ঘুসি, চড়, লাথি মেরে তাঁকে হত্যা করল বাবা-ছেলের জুটি। ব্রিটেনের নরউইচ ক্রাউন কোর্টে, সম্প্রতি শুনানি চলাকালীন প্রকাশ পেয়েছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ঘটেছিল ২০২২ সালের ২৩ জানুয়ারি। প্রেমিককে বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের আগ্রাসনে জখম হয়েছিলেন মা-ও। যদিও বাবা-ছেলে দুজনেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

৪৯ বছরের ওয়েন পেকহ্যামের স্ত্রী ছিলেন কেরি পেকহ্যাম। দম্পতির তিন সন্তান আছে। কিন্তু, বিবাহিত জীবনে একেবারেই সুখি ছিলেন কেরি। কারণ ওয়েনের রুক্ষ স্বভাব। কেরির অভিযোগ ওয়েন সবসময় তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইত, মারধরও করত। বড় ছেলে রিলির উপরও তার খারাপ প্রভাব পড়েছিল। একসময় এই অশান্ত সম্পর্কে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন কেরি। সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অপেক্ষাকৃত তরুণ ম্যাথুর সঙ্গে। তারপর, ওয়েনের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করে তিনি ম্যাথুর সঙ্গে নরফোকের ডাউনহ্যাম মার্কেট এলাকার এক বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। ওয়েনের স্বভাব জানতেন কেরি। ম্যাথুর ক্ষতি করতে পারে আশঙ্কা করেছিলেন। তাই, নিজেদের বাড়ির সামনে নিজেদের গাড়িও রাখতেন না, পাছে ওয়েন তাদের খুঁজে পায়।

তবে, এই লুকোচুরি খেলাটা বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি তাঁরা। ২০২২-এর ২৩ জানুয়ারি রিলি এবং ওয়েন পেকহ্যাম হানা দিয়েছিল তাদের সুখি সংসারে। প্রথমে ছাদে উঠেছিল রিলি। তারপর একটি জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েছিল বাড়ির ভিতরে। আতঙ্কে ম্যাথু তাদের ছোট ছেলের বেডরুমের ওয়ারড্রোবে লুকিয়ে পড়েছিলেন। সেই অবস্থায় পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছিলেন। পুলিশ এসেছিল, কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার তা ঘটে গিয়েছে। আদালতে কেরি জানিয়েছেন, ম্যাথুকে খুঁজে পেয়েই বাবাকে ডেকেছিল রিলি। ওয়েনকে আটকানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন কেরি।

ইতিমধ্যে ম্যাথুর শরীরে ও মুখে লাথি, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করে দিয়েছিল রিলি। এরপর তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর, ছেলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিল ওয়েন। পুলিশ যখন এসেছিল, বাড়ির ভিতর থেকে কেরির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিল। আর ভিতরে ঢুকে দেখেছিল হলঘরের মেঝেতে ম্যাথুর নিথর দেহ পড়ে আছে। ওয়েন পেকহ্যাম প্রথমে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছিল রিলি। কয়েক ঘণ্টা পর তার ঠাকুর্দার বাড়ি থেকে তাকেও ধরা হয়েছিল। ম্যাথুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল। ময়নাতদন্তে দেখা গিয়েছে তার শরীরে অন্তত ৪০টি এমন আঘাত করা হয়েছিল, যার কোনও একটি থেকেই তাঁর মৃত্যু হতে পারত। তবে, তাঁকে মারা হয়েছিল শ্বাসরোধ করে। ওয়েন এবং রিলি পেকহ্যামের বিরুদ্ধে ২০২১-এর ডিসেম্বরে অন্য এক দম্পতির উপর হামলা করার অভিযোগও রয়েছে।