S Jaishankar: ‘অন্য দেশের থেকে বাক স্বাধীনতা শিখতে হবে না’, কানাডাকে কড়া সবক বিদেশমন্ত্রীর
India-Canada Row: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। বাক স্বাধীনতা কী, তা আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। আমাদের মনে হয় না বাক স্বাধীনতা কোনও ধরনের হিংসায় উসকানি দিতে পারে না।"
ওয়াশিংটন: খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যু ঘিরেই ভারত ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও হিংসাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে শুক্রবারই বিদেশের মাটি থেকে কানাডাকে আক্রমণ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। শনিবার তিনি আরও একবার আক্রমণ করে বলেন, “বাক স্বাধীনতা কী, আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই।”
পাঁচদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই শনিবার তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। বাক স্বাধীনতা কী, তা আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। আমাদের মনে হয় না বাক স্বাধীনতা কোনও ধরনের হিংসায় উসকানি দিতে পারে না। আমাদের কাছে তা স্বাধীনতার অপব্যবহার, স্বাধীনতা রক্ষা নয়।”
সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনসুলেটে বসে বিদেশমন্ত্রী কানাডায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের খালিস্তানি হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “আপনারা যদি আমার জায়গায় থাকতেন, তবে কী করতেন? যদি আপনাদের দূতাবাসে, আপনাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হত, তাহলে আপনারা কী করতেন?”
বিদেশমন্ত্রী আরও জানান, নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক ও তার জেরে দুই দেশের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে ভারত ও কানাডা পারস্পরিক আলোচনা করবে। মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের কাছেও তিনি ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক দূরত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, “আমরা আলোচনার দরজা বন্ধ করে দিয়েছি, এমন নয়। তবে আমাদেরও সুযোগ দিতে হবে, যার দিকে আশাবাদী থাকতে পারি। যদি ওরা আমাদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে, তবে আমরাও সেই বিষয়টি দেখতে পারি।”