India-China: চিনের পথে ‘কালো বিড়াল’ হবে ভারত! পাক-প্রেম ঘোঁচাতে নতুন কৌশল
China Belt and Road Initiative: চিনের বাণিজ্যিক পথ কেটে নিজের দেশের পণ্য গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে দিতে মিডল করিডর রুট, যা চিনেরই প্রতিবেশী দেশ কাজাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে, সেই পথকেই ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারত।

নয়াদিল্লি: চিনকে মাত দেওয়া পথ খুঁজছে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লক। সাম্প্রতিককালে নিজের বেল্ট অ্য়ান্ড রোড ইনিশিটিভ প্রকল্পে গতি বাড়িয়েছে চিন। যার জেরে বিশ্ব বাণিজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে খানিক শঙ্কার আকাশ দেখছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে কালো বেড়ালের মতো চিনের পথ কাটতে কাজাকিস্তানের রাস্তাকেই ব্যবহার করার কথা ভাবছে ভারত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকনমিক টাইমসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চিনের বাণিজ্যিক পথ কেটে নিজের দেশের পণ্য গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে দিতে মিডল করিডর রুট, যা চিনেরই প্রতিবেশী দেশ কাজাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে, সেই পথকেই ব্যবহার করতে আগ্রহী ভারত।
চিনের এই বাণিজ্য়িক রুট মূলত পাকিস্তান, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, হাঙ্গারি, পেরু-সহ আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের একাধিক দেশের সঙ্গে জুড়ে তৈরি করা হয়েছে। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি, এই রুট ধরেই পাকিস্তানের সঙ্গে মাখোমাখো সম্পর্ক হয়েছে চিনের। যার পরিণাম নানা চক্রান্ত, দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতি কালো বিড়ালের মতো চিনের পথ কাটতে নয়াদিল্লি তাকিয়ে কাজাকিস্তানের দিকে।
চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রোজেক্টেরই অংশ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। ৩ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত শিল্পাঞ্চল সরাসরি চিনের সঙ্গে পাকিস্তান ভিতর পথে জুড়ে দেয়। যা শঙ্কা তৈরি করে ভারতের ক্ষেত্রেও। কারণ, চিনের এই নির্মীয়মান করিডর তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানের সীমানার অন্দরে কিন্তু ভারতের গা ঘেঁষে।
গতবছর বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক এই অর্থনৈতিক করিডর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘এই অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে আমাদের অবস্থান সকলেই জানে। আমরা এই করিডরে সম্পূর্ণ বিপক্ষে। এটি আমাদের সার্বভৌমত্বেও আঘাত আনার একটি চেষ্টারই অংশ।’

