Indian-Origin US Man: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করতেই কি পাহাড় থেকে গাড়ি ফেলে দিয়েছিলেন ধর্মেশ?

Attempt to Murder: আমেরিকার উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, খাদের মধ্য পড়েছিল একটি টেসলা গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে ৪ বছরের একটি মেয়ে, ৯ বছরের একটি ছেলে সব দুজন পরিণতবয়স্ককে উদ্ধার করা হয়েছে।

Indian-Origin US Man: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করতেই কি পাহাড় থেকে গাড়ি ফেলে দিয়েছিলেন ধর্মেশ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2023 | 6:22 PM

ক্যালিফোর্নিয়া: স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক আমেরিকান ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে ৪১ বছরের ওই ব্যক্তিকে। একটি পাহাড়ের কিনারা থেকে খাদে পড়ে ওই ব্যক্তির গাড়ি। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করতেই খাদে ইচ্ছাকৃতভাবে গাড়ি ফেলেছেন তিনি। কারণ ওই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটার মতো কোনও পরিস্থিতিই ছিল না। হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আমেরিকার পুলিশ ডিপার্টেমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে অভিযুক্ত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তির নাম ধর্মেশ এ প্যাটেল। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনায় থাকেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে সেরে উঠেছেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই তাঁকে রাখা হয়েছে সান মাতেও কাউন্টি জেলে।

আমেরিকার উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, খাদের মধ্য পড়েছিল একটি টেসলা গাড়ি। সেই গাড়ি থেকে ৪ বছরের একটি মেয়ে, ৯ বছরের একটি ছেলে সব দুজন পরিণতবয়স্ককে উদ্ধার করা হয়েছে। একটি হেলিকপ্টারে করে পরিণতবয়স্ককে উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও এই উদ্ধারকাজকে খুবই মিরাকেল বলে উল্লেখ করা হয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। পাহাড় থেকে প্রায় ২৫০-৩০০ ফুট গভীরতায় ওই গাড়িটি পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, “যে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মনে হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” গাড়ি নীচে পড়ে যেতেই সেখানে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী খবর দেন পুলিশকে। পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে দুর্ঘটনার ব্যাপারে অবহিত করেন। সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে যায় সেখানে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার জেরে অত উঁচু থেকে নীচে পড়ার পর বেঁচে থাকার বিষয়টি খুবই বিরল। এ নিয়ে এক অফিসার বলেছেন, “উদ্ধারের সময় আমরা যখন দেখলাম সকলেই বেঁচে রয়েছেন তখন বেশ অবাক হয়েছিলাম। যদি বেঁচে আছে দেখে ভাল লেগেছিল।” ওই দুই বাচ্চার আঘাত গুরুতর ছিল না বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।