Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত বেড়ে ২৫২, অধিকাংশই স্কুল শিশু, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদীর
Indonesia Earthquake: যত সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। শোক প্রকাশ করলেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জাকার্তা: প্রথমে বলা হয়েছিল ২০, তারপর ৪৬, ৫৬ সোমবার রাতে জানানো হয়েছিল ১৬২। মঙ্গলবার দুপুরে আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২-এ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা। সোমবার ৫.৬ মাত্রা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ। পশ্চিম জাভার সিয়ানজুর শহরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নিচে এই কম্পনের উৎপত্তি ঘটেছিল। এদিন টুইট করে এই বিপর্যয়ের সময়ে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে আমি মর্মাহত। নিহত ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই শোকের সময়ে ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রাচীন বন্ধুত্বের কথা। মোদী বলেছিলেন, শুধু সুসময়ে নয়, দুঃসময়েও ইন্দোনেশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ২০১৮ সালে সুনামির পর ভারত ‘সমুদ্র মৈত্রী’ অভিযান চালু করেছিল বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
Saddened by the loss of lives and damage to property from the earthquake in Indonesia. Deepest condolences to the victims and their families. Wish a speedy recovery to the injured. India stands with Indonesia in this hour of grief. @jokowi
— Narendra Modi (@narendramodi) November 22, 2022
সোমবারের ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে সিয়ানজুর শহর। সেখানকার জাতীয় অনুসন্ধার ও উদ্ধার পর্যদের প্রধান হেনরি আলফিয়ান্দি বলেছেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান ছড়িয়ে দেওয়াটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রামীন এলাকাগুলির রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৩,০০০-এরও বেশি লোক গৃহহারা। অধিকাংশ হতাহতরা শিশু। ভূমিকম্পটি ঘটে বেলা ১টা নাগাদ, তারা তখনও স্কুলে ছিল।” ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ জানিয়েছে, ২,২০০টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে কুকু নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “আচমকা আমার উপর সবকিছু ভেঙ্গে পড়েছিল। আমার শিশুরা তার নীচে চাপা পড়েছিল। আমার দুই সন্তান বেঁচে গিয়েছে। আমি তাদের ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে বের করেছি। আরও একজন এখনও নিখোঁজ। ভূমিকম্পে ক্ষতি হয়েছে হাসপাতালগুলিরও। তাই হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। এক গুরুতর আহত ব্যক্তির আত্মীয় বলেছেন, “হাসপাতালের মাঠে অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে, খুব ভিড় ওখানে।”