Afghan Situation: ইসলামাবাদে বৈঠকে হাজির চিন-রাশিয়া, কাবুল থেকে ফিরে কী বার্তা দিলেন আইএসআই প্রধান?

শুধু চিন ও রাশিয়াই নয়। এশিয়ার আরও পাঁচটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন পাক রাজধানীতে হওয়া সেই বৈঠকে।

Afghan Situation: ইসলামাবাদে বৈঠকে হাজির চিন-রাশিয়া, কাবুল থেকে ফিরে কী বার্তা দিলেন আইএসআই প্রধান?
সম্প্রতি কাবুলে গিয়েছিলেন আইএস্‌আই-এর ডিজি ফইজ হামিদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 7:44 AM

ইসলামাবাদ: কয়েকদিন আগেই কাবুল সফর সেরে ফিরেছেন পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)এর ডিজি ফইজ হামিদ। তালিবানের সরকার গঠনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা আছে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর সেখান থেকে ফিরে শনিবার বৈঠক ডেকেছিলেন তিনি। চিন (China), রাশিয়া (Russia) ও এশিয়ার আরও পাঁচটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানেরা সেই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। মূলত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত ছিল কাজাখস্থান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইরান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা। শনিবার ইসলামাবাদে হয় সেই বৈঠক।

তবে এই দেশগুলির মধ্যে আফগানিস্তান নিয়ে হওয়া এই বৈঠক প্রথম নয়। দিনকয়েক আগেই পাকিস্তান, চিন, ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর এমনই এক বৈঠকে বসেছিলেন। যদিও সেই বৈঠকে অজ্ঞাত কারণে গরহাজির ছিল রাশিয়া।

তালিবানের আমন্ত্রণেই কাবুল সফরে গিয়েছিলেন আইএসআই-এর ডিজি। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানি সরকারের সমীকরণ নির্নয় করতেই তিনি কাবুলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তিনি কাবুল থেকে ফেরার পরই তালিবান নয়া সরকারের বিভিন্ন পদ ঘোষণা করে। শুধু তাই নয়, তিনি কাবুল সফর সেরে আসার পরই পঞ্জশীরে প্রবেশ করতে সফল হয় তালিবান। তাই আফগানদের একাংশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন।

রাশিয়া ও এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলি আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। তালিবান তাদের সরকার গঠনে গঠনের অনুষ্ঠানেও এর মধ্যে একাধিক দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। রাশিয়া, চিন, তুরষ্ক, ইরান, পাকিস্তান ও কাতারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের নয়া সরকারের নেতৃত্ব থাকবেন মহম্মদ হাসান আখুন্দ ও তাঁর ‘ডেপুটি’ হিসেবে থাকবেন আব্দুল ঘানি বরাদর। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আমেরিকায় হামলার বর্ষপূর্তির দিনেই সরকার গঠনের পরিকল্পনা ছিল তালিবানের। কিন্ত ওই দিন নিয়ে আপত্তি জানায় রাশিয়া। তাই সম্ভবত বাতিল করা হয় সেই পরিকল্পনা।

ইতিমধ্যেই কাতার, তুরষ্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সহযোগিতায় কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সচল করেছে তালিবান। গত সপ্তাহেই কাতার একটি বিশেষজ্ঞ দল এসেছে, তালিবানদের কাবুল বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ও বিমান ওড়ানো শেখাতে এসেছে কাতারের একটি বিশেষজ্ঞ দলও। আফগানিস্তান দখলে পাকিস্তান যে মদত দিয়েছে তালিবানদের, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট। সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে চিনের সঙ্গেও। ঘানি সরকারের পতনের পরই সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছে চিন।

সূত্রের খবর আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন হলে যাতে হাক্কানি গ্রুপের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় সে কথা বলতেই উদ্যোগী হয়েছিল পাকিস্তান। আফগানিস্তানের রাজনীতিক মরিয়ম সোলাইমানখিল একটি টুইটে জানান, মোল্লা বরাদরকে যাতে সরকার প্রধান না করা হয় এবং হাক্কানি নেট্ওয়ার্কের নেতাকে যাতে মাথায় বসানো হয় সে জন্যই আইএসআই-এর ডিজির কাবুল সফর। আর তিনি দেশে ফেরার পরই ঘোষিত হয় নয়া সরকার।

আরও পড়ুন: 1975 Verdict: ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্টের রায়, ‘সাহসিকতার নজির’ বলে উল্লেখ প্রধান বিচারপতির