1975 Verdict: ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্টের রায়, ‘সাহসিকতার নজির’ বলে উল্লেখ প্রধান বিচারপতির

Chief Justice NV Ramana: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। এলাহবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় সেই মামলায়।

1975 Verdict: ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্টের রায়, 'সাহসিকতার নজির' বলে উল্লেখ প্রধান বিচারপতির
হাইকোর্টের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2021 | 7:09 AM

নয়া দিল্লি: ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) বিরুদ্ধে দেওয়া রায় ছিল ‘অত্যন্ত সাহসী’। এলাহবাদ হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায় নিয়ে এক অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমন (CJI NV Ramana)। এলাহবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) দেওয়া সেই রায় কার্যত গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। শনিবার এক অনুষ্ঠানে সেই নজিরবিহীন রায়ের কথাই মনে করালেন প্রধান বিচারপতি। এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। উত্তরপ্রদেশের ল’ ইউনিভার্সিটির শিলান্যাসও করেন তাঁরা। সেই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের অন্যতম পুরনো এই হাইকোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়ের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি।

এ দিন প্রধান বিচারপতি এদিন ১৯৭৫ সালে এলাহবাদ হাইকোর্টের দেওয়া সেই রায়ের কথা উল্লেখ করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল সেই রায়। তাঁকে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা হয়েছিল। এলাহবাদ হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জগমোহন লাল সিনহা সেই রায় দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল ইনন্দিরার বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর সেই রায়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এলাহাবাদ হাইকোর্টের তাৎপর্যের কথা স্মরণ করাতেই এ দিন এই রায়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ দিন বিচারপতি এনভি রমন উল্লেখ করেন এলাহবাদ হাইকোর্টের ১৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। দেশ জুড়ে আইনের ক্ষেত্রে এই হাইকোর্টের অনেক অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১২ জুন সেই নজিরবিহীন রায় দিয়েছিলেন তৎকালীন এলাহবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা। নির্বাচনি বিধিভঙ্গের অভিযোগে সেই মামলা হয়েছিল। আর তাতেই সরাসরি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। ইন্দিরা গান্ধীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সেই রায়ে। ইন্দিরা গান্ধীকে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করা হয়েছিল। এলাহবাদ হাইকোর্টের সেই রায়ই দেশে জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এ দিন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওই রায়ে দেশজুড়ে আর কি কি হতে পারত সেই ব্যাখ্যা আমি বিশদে দিতে চাই না’

ইন্দিরা গান্ধী যাতে কোনও নির্বাচিত পদে থাকতে না পারেন সেই রায় দিয়েছিলেন এলাহবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ পিপলস আইনে’ সেই রায় দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭১ সালে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু নির্বাচনে তাঁর জয়ের পর তাঁর প্রতিপক্ষ রাজ নারায়ন ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি বিধিভঙ্গের অভিযোগ সামনে আনেন। আসলে নির্বাচনের সময় ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন যশপাল যাদব, আর তিনি ছিলেন পেশায় একজন সরকারি কর্মী। রাজ নারায়নের অভিযোগ ছিল, একজন সরকারি আধিকারিককে নির্বাচনি কাজে লাগানো হয়েছে। সেই মামলাতেই ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: Gujarat CM Resign: বিদায় নিলেন রূপাণী, গুজরাটের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? সম্ভাবনায় ৪-৫ টি নাম