Israel Iran Conflict: শুরু ধর্মীয় নেতা বাছাই! কার হাতে যাবে ইরান? মৃত্যুর আগেই মনোনয়ন খামেনেইয়ের
Israel Iran Conflict: ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব ঘটে। এর ঠিক দশ বছর পরে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে সেদেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে বসেন আলি আয়াতুল্লা খামেনেই। সেই থেকেই দেশ সামলাচ্ছেন তিনি।

তেহরান: মৃত্যুর আভাস পেয়ে গেলেন খামেনেই? প্রাণ যে সংশয়ে তা এবার বুঝতে পারছেন ইরানের ধর্মীয় নেতা? আর সেই কথা মাথায় রেখেই কি এত সতর্কতা? নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাঙ্কার থেকেই নিজের তিন সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে বেছে নিয়েছেন খামেনেই। তার মৃত্যু হলে এদের মধ্যেই কেউ হবে ইরানের পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লব ঘটে। এর ঠিক দশ বছর পরে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে সেদেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পদে বসেন আলি আয়াতুল্লা খামেনেই। সেই থেকেই দেশ সামলাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এত বছর পর হঠাৎ করে কোন বিপত্তি এগিয়ে এল তাঁর দিকে? ইজরায়েলি হানায় কি ভয় পেয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা? নাকি তিনি ভাবছেন, তার পরিণতিটাও সাদ্দাম হুসেনের মতোই হবে।
সাম্প্রতিকালে, খামেনেইকে হত্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার পরিণতি সাদ্দাম হুসেনের মতো বলেও তোপ দাগেন ইজারায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ। তারপর থেকেই নিজের প্রাণের কথা ভেবে বাঙ্কারের তলা গা ঢাকা দিয়েছেন খামেনেই। তিনি যে কোথায় রয়েছেন, তা কেউই জানে না।
আর সেই বাঙ্কার থেকেই নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের নাম বাছাই করলেন খামেনেই। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খামেনেই মনোনীত নামগুলির মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন মোজতাবা খামেনেই। তিনি খামেনেইয়ের দ্বিতীয় সন্তান ও আগামী দিনে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। খামেনেই পুত্র ছাড়া সেই তালিকায় আর দু’জন কে, সেই তথ্য জানায়নি ওই মার্কিন সংবাদপত্র।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আলিরেজা আরাফি। বলা চলে, বর্তমানে খামেনেইয়ের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও বিশ্বস্ত প্রার্থী। খামেনেইয়ের ছেলে বয়সের কারণে বাদ পড়লে উঠে আসতে পারে তার নাম। সবশেষে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আরও এক খামেনেই ঘনিষ্ঠ হাশেম হুসেইনি বুশেরি। তিনি বর্তমানে ইরানের প্রশাসনিক পদে রয়েছেন।





